হাওর ডেস্ক::
ভারতের ঝাড়খন্ড থেকে আদানি পাওয়ারের বিদ্যুৎ আসা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ রয়েছে পটুয়াখালীর পায়রায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিটও। এ কারণে বিদ্যুতের চাহিদা ও যোগানে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
আগামী ৫ জুলাই থেকে আবার আদানির কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরুর আশা করছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডায় আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক ওই কেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকে দৈনিক ১৪০০ থেকে ১৫০০ মেগাওয়াট হারে বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসছিল।
পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) খন্দকার মোকাম্মেল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট আগে থেকেই বন্ধ। এর মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় শুক্রবার উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
“বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বয়লার উত্তপ্ত থাকায় এখন ত্রুটি অনুসন্ধান শুরু করা যায়নি। সে কারণে কেমন ত্রুটি ও তা মেরামত করতে কতদিন লাগবে তা এখনই জানাতে পারেনি আদানি কর্তৃপক্ষ।”
যান্ত্রিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আদানি পাওয়ারের ৭৪৮ ইউনিট উৎপাদন ক্ষমতার একটি ইউনিট গত ২৫ জুন থেকে বন্ধ। আগামী ৫ জুলাই সেটি আবার চালু হতে পারে বলে জানান পিডিবি কর্মকর্তা মোকাম্মেল।
রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পটুয়াখালীতে অবস্থিত ১ হাজার ২৪৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিটও কিছুদিন আগে বন্ধ করা হয়েছিল।
একাধিক সক্রিয় কেন্দ্র বন্ধ হওয়ার ফলে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহেও ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
শনিবার দিনের বেলায় ১৪০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করতে প্রায় এক হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং দিতে হয়েছিল।
পিজিসিবি ও বিপিডিবির ওয়েবসাইট থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।