হাওর ডেস্ক::
আগের ম্যাচগুলোতে বদলি নেমে জালের দেখা পাওয়া লাউতারো মার্তিনেস শুরুর একাদশে ফিরে আরও দ্যুতিময়। পেরুর বিপক্ষে পুরোটা সময় তিনি ভীতি ছড়ালেন রক্ষণে। দ্বিতীয়ার্ধে চমৎকার ফিনিশিংয়ে করলেন দুই গোল। টানা তিন জয়ে গ্রুপ শ্রেষ্ঠত্ব নিশ্চিত করল আর্জেন্টিনা।
ফ্লোরিডার হার্ড রক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রোববার সকালে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে ২-০ গোলে জিতেছে কোপা আমেরিকার শিরোপাধারীরা।
একই সময়ে হওয়া অন্য ম্যাচে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন চিলির সঙ্গে গোলশূন্য ড্রয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে কানাডা। একটি করে জয় ও ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তারা গ্রুপ রানার্সআপ।
টানা তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা আর্জেন্টিনা। দুটি ড্রয়ে দুই পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় চিলি। তাদের বিপক্ষে ড্র দিয়ে আসর শুরু করা পেরুর প্রাপ্তি ওই এক পয়েন্ট।
আগের দুই ম্যাচে বিরতির পর দল দেরিতে মাঠে ফেরায় নিষেধাজ্ঞার শাস্তি পাওয়া কোচ লিওনেল স্কালোনির অনুপস্থিতিতে এদিন ডাগআউটে দাঁড়ান সহকারী কোচ ওয়াল্তার সামুয়েল।
চিলির বিপক্ষে ম্যাচে চোট পাওয়া লিওনেল মেসিসহ বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে দেওয়া হয় বিশ্রাম। দীর্ঘ দিনের সতীর্থের অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেন আনহেল দি মারিয়া।
শুরু থেকে বলের নিয়ন্ত্রণে একচ্ছত্র আধিপত্য করলেও পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না আর্জেন্টিনা। ‘ডিপ ডিফেন্ডিং’ করা পেরুর বক্সের আশপাশেই ছোটাছুটিতে ব্যস্ত ছিলেন মার্তিনেস, আলেহান্দ্রো গারনাচোরা। তাতে লক্ষ্যে প্রথম শট রাখতে আর্জেন্টিনার লেগে যায় ২৬ মিনিট।
বক্সের বাইরে থেকে লেয়ান্দ্রো পারেদেসের ফ্রি কিক লাফিয়ে ডান হাতের টোকায় আটকে সে চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন গোলরক্ষক পেদ্রো গাইয়াসি।
বিরতির আগে পেরুর রক্ষণে চাপ বাড়াতে থাকে আর্জেন্টিনা। আসতে থাকে সুযোগও।
৪১তম মিনিটে দি মারিয়ার শট আটকে ফের পেরুর ত্রাতা গাইয়াসি। এরপর বাইলাইনের একটু ওপর থেকে গনসালো মনতিয়েলের কাট ব্যাকে জিওভান্নি লো সেলসোর নেওয়া নিচু জোরাল শট কোনোমতে পা দিয়ে ফেরান গোলরক্ষক।
চলতি আসরে গ্রুপ পর্বে কোনো ম্যাচেই প্রথমার্ধে গোল না পাওয়ার হতাশা নিয়ে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যায় তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ৪৭তম মিনিটে দি মারিয়ার কাছ থেকে ডি বক্সের মাথায় বল পেয়ে ডিফেন্ডারদের এড়িয়ে একটু সামনে গিয়ে আড়াআড়ি শটে জাল খুঁজে নেন মার্তিনেস। আসরে টানা তিন ম্যাচে গোল পেলেন ছন্দে থাকা এই স্ট্রাইকার।
৭২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন পারেদেস। পেনাল্টি থেকে তার শট ফেরে পোস্ট কাঁপিয়ে। হেসুস কাস্তিয়োর হ্যান্ডবলে পেনাল্টি পেয়েছিল আর্জেন্টিনা।
৮৪তম মিনিটে চমৎকার একটি সুযোগ পেয়েছিলেন মার্তিনেস। ডিফেন্ডারদের এড়িয়ে শটও নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পার করতে পারেননি পেরু গোলরক্ষককে। দুই মিনিট পর নিজেদের অর্ধ থেকে উঁচু করে বাড়ানো বলে আবার সুযোগ আসে ইন্টার মিলান স্ট্রাইকারের সামনে। এবার ঠাণ্ডা মাথায় জাল খুঁজে নেন তিনি।
আসরে মার্তিনেসের গোল হলো চারটি।
এরপর বেশ আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে পেরু। তৈরি করে কিছু সুযোগ। ৮৯তম মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল তারা। হোসে রিভেরার ক্রসে ফ্রাঙ্কো সেনেলাতোর হেড এক পোস্টে লেগে আরেক পোস্ট ঘেঁষে বাইরে বেরিয়ে যায়! টানা তিন ম্যাচে অক্ষত থাকে আর্জেন্টিনার জাল।