হাওর ডেস্ক::
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের মানুষ এখনও পানিবন্দি। ডুবে গেছে মেরুং বাজার।
একই উপজেলার কবাখালি ইউনিয়নের ৫ গ্রামের পানিও বুধবার সকাল পর্যন্ত নামেনি। সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার বাসিন্দারা।
মেরুং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকি বলেন, “বন্যা পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। মেরুংয়ের হেড কোয়াটার এলাকায় সড়কে পানি উঠে যাওয়ায় লংগদুর সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
“এখনও মধ্য বোয়ালখালি গ্রাম থেকে সোবাহানপুর পর্যন্ত ২০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি। বন্যা দুর্গতদের আমরা সাহয়তা দিচ্ছি। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পানি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
কবাখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্ঞান চাকমা বলছিলেন, তার ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে সেখানকার বাসিন্দারা।
এদিকে টানা বৃষ্টিতে খাগড়াছড়ি-লংগদু সড়কের একাধিক স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনাও ঘটেছে।
সাজেক কটেজ মালিক-সমিতির সহ-সভাপতি চাই তোয়াই অং চৌধুরী জয় বলেন, বাঘাইহাট ও মাচালং এলাকায় সড়কে ৫ ফুট উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে সাজেক রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রে আটকা পড়েছে ৪‘শ ৬৫ পর্যটক।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইএনও) মামুনুর রশিদ বলেন, দীঘিনালায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এখন ২১টা আশ্রয়কেন্দ্রে মোট চার’শ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।