ফারুক যোশী::
’আবহমান বাঙালি সংস্কৃতি আমাদের উত্তরাধিকার। ঐতিহ্যের এই সংস্কৃতিকে বাংলাদেশের বাইরে নতুনদের মাঝে পরিচয় করিয়ে দিতে, ব্রিটেনের বেড় উঠা শিশু-কিশোরদের মাঝে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে জনপ্রীয় করে তোলতে চেতনা ইউকে ম্যানচেষ্ঠারের চলমান উদ্যোগ একেকটা মাইলস্টোন হিসেবেই কাজ করছে’ —এ কথাগুলো উচ্চারিত হয়েছে চেতনা ইউকে ম্যানচেষ্টারের ঈদ পুনর্মিলনী ও ঘুড়ি উৎসবে।
এ উৎসবটি হয়ে গেলো গত ৩রা সেপ্টেম্বর রবিবার। দুপুর বারোটায় এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপি আফজাল খান ও ম্যানচেষ্টার সিটি কাউন্সিলের স্কুল-আর্ট এন্ড লেজারের নির্বাহী সদস্য কাউন্সিলার লুৎফুর রহামন। চেতনার সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক-কলামিস্ট ফারুক যোশীর সঞ্চালনায় এতে স্বাগতিক বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ মাহমুদুর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন কাউন্সিলার আবিদ চৌহান, মুক্তিযোদ্ধা ডা: নজরুল ইসলাম, জিএমবিএ’র চেয়ারম্যান নাসের ওয়াহাব, হাইড ওয়েলফেয়ারের চেয়ারম্যান নাসির খান, সুরাবুর রহমান, মইনুল আমীন, রুহুল আমিন চৌধুরী প্রমূখ।
উৎসবে ছিলো শিশু-কিশোর নারী পুরুষদের জন্যে বিভিন্ন খেলাধুলা। বাচ্চাদের সুন্দর করে বাংলা লিখা, পাস দ্যা পার্সেল, পাস দ্যা পিলো, রশি টানাটানি, চকলেট দৌড়, মোরগের লড়াইসহ বাংলাদেশের গ্রামীন সংস্কৃতির বিভিন্ন খেলাধুলা চলে এ উৎসবে। উৎসব সমন্বয়ক এবং চেতনার সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল হক ওয়েছের সার্বিক পরিকল্পনায় এই খেলাধুলার দায়ীত্ব¡ পালন করেন ডাঃ নজরুল ইসলাম, মরিয়ম ইসলাম, সাবিনা ইয়াসমিন শাপলা, সালেহা চৌধুরী, রেহানা বেগম প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেছেন আমেনা ওয়েছ, নিশাত, সেজুতি, মাহিরা, নওরীন, প্রভা,আরীভা, এমা, সুহাসহ এদেশে বেড়ে উঠা এক ঝাক কিশোরী-তরুনী। এ অনুষ্ঠানকে সফল করে তোলতে সার্বিক সহযোগীতা করেছেন আলমগীর চৌধুরী, ফয়জুল ইসলাম,ফয়সল আহমদ, শাহ কাইয়ুম, মাহী মাসুম, ইলিয়াস চৌধুরী, বিশাল দেব, বেলায়েত চৌধুরী, রাহেল চৌধুরী, আফজাল রাব্বানী, এম আহমদ জুনেদ, শাহনেওয়াজ আহমদ, সেকুল ইসলাম, নাসিরুল ইসলাম প্রমূখ। উৎসবটি স্পন্সর করেছে রয় এন্ড কোঃ।
খেলাধুলার পাশাপাশি চলে সঙ্গীতানুষ্ঠান। মীর গোলাম মোস্তফা ও আমিনুল হক ওয়েছের পরিচালনায় দীর্ঘ চার ঘন্টার এ অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন লন্ডন-হাইড-বার্নলী-ব্রাইটনসহ ম্যানচেষ্টারের স্থানীয় শিল্পীবৃন্দ। কয়েক শত মানুষের অংশগ্রহনে উৎসবটি শেষ হয় বিকেল পাঁচটায়। জনপ্রিয় অনলাইন টিভি প্রবাস বাংলা অনুষ্ঠানটি লাইভ সম্প্রচার করেছে।