হাওর ডেস্ক::
কুমিল্লার লালমাইয়ে হিমাগারে অবৈধভাবে মজুত করা ৪ লাখ ২৭ হাজার ডিম নিলামে ৬ টাকা দরে বিক্রি করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার উপজেলার বরল এলাকায় মেঘনা কোল্ড স্টোরেজ থেকে জব্দের এ ডিম নিলামে তোলা হয় বলে লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন জানান।
ডিম বিক্রির ২৬ লাখ ৯৮ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে এসব ডিম জব্দ করা হয়েছিল।”
হিসাব মতে, প্রতিটি ডিমের দাম পড়েছে ৬ টাকার কিছু ওপরে।
এর আগে গত ১৬ মে একই হিমাগার থেকে ২১ লাখ ডিমের অবৈধ মজুত জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সে সময় হিমাগারের মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জব্দ ডিম বাজারজাত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ইউএনও মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, “জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় বিভিন্ন কোল্ড স্টোরেজে অবৈধ মজুত আছে কী না জানতে অভিযান চালানো হয়। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লালমাই উপজেলার বরল এলাকার মেঘনা কোল্ড স্টোরেজে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ ডিমের মজুত সন্ধান পান ভ্রাম্যমাণ আদালত।”
তিনি বলেন, “পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারজানা আক্তার ওইসব ডিম নিলামে বিক্রি করেন। পাশাপাশি অবৈধ মজুতদারির দায়ে কোল্ড স্টোরেজের মালিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।”
ইউএনও আরও জানান, কৃষি বিপণন আইন অনুযায়ী, ডিমের ক্ষেত্রে সরকারি অনুমোদন সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ দিন মজুত রাখা যায়। কিন্তু ওই হিমাগারে গিয়ে দেখা গেছে, মাসের পর মাস ধরে তারা ডিম মজুত করে রেখেছেন।
এর আগেও একই হিমাগার থেকে ২১ লাখ ডিমের বিশাল অবৈধ মজুত জব্দ করে বাজারে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল বলে জানান এ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
এদিকে, মেঘনা কোল্ড স্টোরেজে ডিম সংরক্ষণকারী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দাবি, ডিম নিলামের আগে তাদের বিষয়টি জানানো হয়নি।
নোয়াখালীর মাইজদী বড় বাজারের ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন বলেন, “অভিযানের সময় বা আগে জানালে আমরা ডিমগুলো সরিয়ে নিতাম। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালত এসেই ডিম জব্দ করে নিলাম করে দেওয়ায় এখন আমার পথে বসার মত অবস্থা।”
মো. মাইনুল ইসলাম নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, “আমার ৫২ হাজার ৮০ পিস ডিম ছিল। আমাকে না ডেকেই এসব ডিম নিলাম করা হল। আমি ধারে টাকা এনে এসব ডিম কিনে সংরক্ষণ করছিলাম।”
এদিকে, প্রশাসনের প্রকাশ্য নিলামে ভ্যাট-ট্যাক্সসহ প্রতিটি প্রায় ৬ টাকা দরে ডিমগুলো কিনে নেন লালমাই উপজেলার ব্যবসায়ী লোকমান হোসেন।