হাওর ডেস্ক::
এদের মিলিতাওয়ের শট ঠেকিয়ে দিলেন সের্হিও রচেত, পোস্টে মারলেন গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি। আলিসন বেকার অবশ্য হোসে মারিয়া হিমেনেসের শট থামিয়ে কিছুটা আশা জাগান। তাতে লাভ হয়নি। মানুয়েল উগার্তের শট জালে যেতেই সেমি-ফাইনালে উঠে গেল উরুগুয়ে। শেষ আট থেকে বিদায়ঘণ্টা বেজে গেল ব্রাজিলের।
কোপা আমেরিকার চতুর্থ ও শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে গোলশূন্য ড্র থাকে মূল ম্যাচ। পরে লাস ভেগাসের অ্যালিজায়ান্ট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রোববার সকালে টাই ব্রেকারে ব্রাজিলকে ৪-২ গোলে হারায় মার্সেলো বিয়েলসার দল।
২০১১ সালে সবশেষ শিরোপা জেতার চার আসর পর আবার শেষ চারের টিকেট পেল রেকর্ড ১৫ বারের শিরোপাজয়ীরা। আর কোয়ার্টার-ফাইনালেই থেমে গেল গত দুই আসরের ফাইনালিস্ট ব্রাজিলের যাত্রা।
ম্যাচে ৬০ শতাংশ সময় বলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রাখলেও আক্রমণের ঝাঁজ দেখাতে পারেনি ব্রাজিল। ৭টি শট করে ৩টি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে ৯ গোল করা উরুগুয়েও পারেনি সেরা ছন্দের ছাপ রাখতে। পুরো ম্যাচে গোলের জন্য ১২টি শট করলেও মাত্র ১টি ছিল লক্ষ্যে।
৭৪তম মিনিটে লাল কার্ড দেখে নাহিতান নান্দেস মাঠ ছেড়ে গেলে বাকি সময়টুকু একজন কম নিয়েই খেলতে হয় উরুগুয়েকে। বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করে আক্রমণভাগে শক্তি বাড়িয়েও সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি ব্রাজিল।
ম্যাচের শুরু থেকেই নিয়মিত ব্রাজিলের রক্ষণে হানা দেয় উরুগুয়ে। কিন্তু তেমন কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি। উল্টো কিছুটা সময় নিয়ে গুছিয়ে ওঠার পর উরুগুয়ের তুলনায় ব্রাজিলের আক্রমণগুলোই মনে হচ্ছিল বেশি ধারাল।
ত্রয়োদশ মিনিটে বাম প্রান্তে ফ্রি কিক পায় ব্রাজিল। রাফিনিয়ার শট রক্ষণ দেয়ালে লেগে চলে যায় বাইরে। ৫ মিনিট পর কর্নার থেকে পাওয়া বলে দূর পাল্লার শট নেন মানুয়েল উগার্তে। মার্কিনিয়োসের মাথায় লেগে পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায় বল!
২৭তম মিনিটে ব্যাক পাসে ডি বক্সের মধ্যে বল পেয়ে যান এন্দ্রিক। কিন্তু শট না নিয়ে তিনি টোকা দেন রাফিনিয়ার উদ্দেশ্যে। ছুটে এসে বল ক্লিয়ার করেন উরুগুয়ের এক ডিফেন্ডার।
৩৩তম মিনিটে চোট পেয়ে মাঠে কিছুক্ষণ শুশ্রূষা নেন রোনাল্দ আরাউহো। কিন্তু খেলা চালিয়ে নিতে পারেননি বার্সেলোনা ডিফেন্ডার। চোখে জল নিয়ে মাঠ ছাড়া আরাউহোর জায়গায় মাঠে আসেন অভিজ্ঞ হিমেনেস।
কিছুক্ষণ বন্ধ থাকার পর খেলা শুরু হলে নান্দেসের ক্রস পেনাল্টি স্পটের কাছে দারুণ উচ্চতায় পান দারউইন নুনেস। কিন্তু লক্ষ্যে থাকেনি তার হেড।
পরের মিনিটে লুকাস পাকেতার হেডে মাঝ মাঠ থেকে বল ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন রাফিনিয়া। তার ডান পায়ের শট বাম হাত বাড়িয়ে ঠেকান উরুগুয়ের গোলরক্ষক।
পরে যোগ করা সময়ে রাফিনিয়ার আরেকটি শট থামান রোচেত। প্রথমার্ধে দুই দল মিলিয়ে শুধু এই দুটি শটই ছিল লক্ষ্যে।
পাঁচ মিনিটের যোগ করা সময়ে দুই দল আপ্রাণ চেষ্টা করে করে ডেডলক ভাঙার। কিন্তু কেউই পারেনি জাল খুঁজে নিতে। ফলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে স্বপ্নভঙ্গ হয় শিরোপা পুনরুদ্ধার করতে আসা ব্রাজিলের।
বাংলাদেশ সময় আগামী বৃহস্পতিবার সকালে সেমি-ফাইনালে উরুগুয়ের প্রতিপক্ষ শেষ আটে পানামাকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়া কলম্বিয়া। ফাইনালের টিকেট পেতে অন্য ম্যাচে লড়বে আর্জেন্টিনা ও কানাডা।