অনলাইন::
মিরপুরের মাজার রোডের বর্ধনবাড়ি এলাকায় ছয়তলা বিশিষ্ট ‘কমলপ্রভা’ নামের বাড়ির পঞ্চমতলা থেকে সাতটি দগ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ আজ সাংবাদিকদের জানান, র্যাব সদস্যরা জঙ্গি আস্তানা থেকে দুর্ধর্ষ জঙ্গি আব্দুল্লাহ, তার দুই শিশু সন্তান, দুই স্ত্রী ও দুই সহযোগীর লাশ উদ্ধার করেছে। লাশগুলো পুড়ে কয়লা হয়ে বিকৃত হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতে পরপর তিনটি বড় ধরনের শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে কক্ষে থাকা অন্যান্য বিস্ফোরক দ্রব্য চারিদিকে ছিটকে পড়ে আগুন ধরে যায়। বিস্ফোরণের পর ওই কেমিক্যালে আগুন লেগে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে জঙ্গি আব্দুল্লাসহ তার দুই সহযোগী, দুই স্ত্রী ও দুই সন্তান পুড়ে কয়লা হয়ে যায়। এতে ভবনের পঞ্চমতলার জানালার থাইগ্লাস ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। পঞ্চমতলার মেঝেতে ফাটল তৈরি হয়।
মহাপরিচালক বলেন, ‘তাদের লাশ এমনভাবে পুড়েছে, কঙ্কাল দেখে কাউকে শনাক্ত করার উপায় নেই। ফরেনসিক পরীক্ষা ছাড়া তাদের শনাক্ত করা সম্ভব নয়।
বেনজীর আহমেদ বলেন, আব্দুল্লাহ ২০০৫ সালে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত হয়। ২০০৮-০৯ সালে জেএমবি ভেঙে তামিম-সারোয়ারের নেতৃত্বে নব্য জেএমবি গঠিত হয়। ওই সময় জঙ্গি আব্দুল্লাহ নব্য জেএমবিতে যোগ দেয়। তার বাসায় নব্য জেএমবির শীর্ষ পর্যায়ের প্রায় সকল নেতাই আসা যাওয়া করতো।
লাশগুলোর ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে র্যাব সুত্র জানায়।
র্যাব সদস্যরা জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে রাজধানীর মিরপুরের মাজার রোডের বাড়িটি সোমবার গভীর রাত থেকে ঘিরে রাখে।