হাওর ডেস্ক::
জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের জগদীশপুর পূর্বপাড়া জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন মো. আলাল হোসেন এর বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের করা মামলা ষড়যন্ত্রমুলক দাবি করে তাঁকে আসামি করার প্রতিবাদ জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসী।
শনিবার দুপুরে মসজিদ প্রাঙ্গনে এক প্রতিবাদ সভায় মসজিদের মুয়াজ্জিনকে আসামি করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
মসজিদ কমিটির মোতাওয়াল্লী সুহেল তালুকদারের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তরা জানান, গত ২৩ জুন সকালে সাধন মিয়া নামের এক যুবক গ্রামের তিনজন লোককে দাঁড়ালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করেন। এই ঘটনায় থানায় মামলা হলে প্রশাসনের দৃষ্টি এড়াতে থানায় পাল্টা মামলা করেন সাধন মিয়ার লোকেরা। এই মামলায় মসজিদে মুয়াজ্জিন একই গ্রামের বাসিন্দা আলাল হোসেনকে প্রধান আসামি করা হয়।
প্রতিবাদ সভায় মসজিদ কমিটি ও গ্রামের একাধিক নেতৃবৃন্দ দাবি করেন, ঘটনার সময় মুয়াজ্জিন আলাল হোসেন মসজিদে অবস্থান করছিলেন। ঘটনাস্থলে তিনি না থাকলেও সম্পৃর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য সাজিয়ে হামলার ঘটনা আড়াল করতে মামলা দিয়ে একজন আলেমকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে মিথ্যা মামলা থেকে মুয়াজ্জিনকে অব্যাহতি দিতে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিআকর্ষণ করেন নেতৃরা।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,জগদীশপুর পূর্বপাড়া জামে মসজিদের কেশিয়ার ইউপি সদস্য মো. আজিজুল হক, প্রবীন মুরব্বি আব্দুল মছব্বির লেবু, আব্দুল মালিক, ইব্রাহিম মিয়া, ছমির আলী, জিলু মিয়া চৌধুরী, ইমদাদুল হক মিলন প্রমুখ।
এদিকে মামলার বিষয়ে জানতে পুলিশের এএসপি জগন্নাথপুর সার্কেল সুভাশীষ ধর বলেন, জায়গা সম্পত্তি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। ২৩ জুন হামলায় একাধিক লোক আহত হয়েছে। থানায় পাল্টাপাল্টি দুইটি মামলা হয়েছে। তদন্ত চলমান রয়েছে।
তদন্তে এজহারের সাথে মুয়াজ্জিন আলালের সম্পৃক্ত না থাকলে চার্জশিট তার নাম বাদ দেয়া হবে বলে জানান তিনি।