হাওর ডেস্ক::
যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে এখনো অনড় অবস্থানে আছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বলেছেন, একমাত্র ঈশ্বর আদেশ দিলেই তিনি নির্বাচন থেকে সরে যেতে পারেন।
শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজকে দেওয়া একটি ‘আনস্ক্রিপটেড’ সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন বাইডেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের আয়োজনে গত ২৮ জুন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জো বাইডেনের মধ্যে প্রথমবারের মতো নির্বাচনী বিতর্ক হয়। সেই বিতর্কে দেশের অর্থনীতি সামলানো, পররাষ্ট্রনীতির রেকর্ড ও ব্যাপক সংখ্যক অভিবাসী আগমন ইস্যুতে বাইডেনের তীব্র সমালোচনা করেন ট্রাম্প। কিন্তু স্পষ্ট ও আত্মবিশ্বাসপূর্ণ যুক্তি দিয়ে ট্রাম্পের সমালোচনা তেমনটা খণ্ডন করতে পারেননি বাইডেন। ওই সময়ে তাকে বেশ ক্লান্তও দেখা যাচ্ছিল।
দলের মধ্যে প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে এভাবে নাস্তানাবুদ হওয়ায় বাইডেনের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তিনি পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার জন্য যোগ্য নন বলে খোদ শীর্ষ ডেমোক্র্যাটরাও এমন প্রশ্ন তোলেন। তাছাড়া বেশ কিছু ডোনারও বাইডেনকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান।
এমন অবস্থায় গুঞ্জন ওঠে নির্বাচন থেকে জো বাইডেন হয়তো সরে দাঁড়াতে পারেন। কিন্তু জো বাইডেনের পক্ষ থেকে এসব গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে বলা হয় তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন।
শুক্রবার নিজের শহর উইসকনসিনে ডেমোক্রেটিক পার্টির ভোটারদের একটি মিছিল-সমাবেশে যোগ দেন বাইডেন। সে সময়ই কর্মসূচির অবসরে এবিসিকে সাক্ষাৎকার দেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করা হয়—ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কের পর থেকে তার রাজনৈতিক দল ডেমোক্রেটিক পার্টির বেশ কয়েকজন সদস্য মনেপ্রাণে চাইছেন যে বাইডেন যেন আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। এ প্রসঙ্গে তার সিদ্ধান্ত বা প্রতিক্রিয়া কী?
জবাবে বাইডেন বলেন, ‘যদি সর্বশক্তিমান ঈশ্বর এসে আমাকে (প্রার্থিতা প্রত্যাহারের) আদেশ দেন, তাহলে আমি তা করতে পারি।’
কী কারণে সেদিনের বিতর্কে এমন বিপর্যয় ঘটল— এ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে বাইডেন বলেন, “তেমন বড় কোনো কারণ নেই। আমি ক্লান্ত ছিলাম। প্রস্তুতিতে খানিকটা ঘাটতি ছিল। আসলে ওটা ছিল একটা বাজে রাত। আমি শুধু একটা বাজে রাত কাটিয়েছি। কেন এমন হলো আমি জানি না।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, বিতর্কের সময় শারীরিকভাবে খুব দুর্বল বোধ করছিলাম। কোভিডে আক্রান্ত হয়েছি কি না— এমন আশঙ্কাও হয়েছিল। এমনকি অনুষ্ঠান শেষে আমি করোনা টেস্টও করিয়েছি।