হাওর ডেস্ক::
বার্সেলোনার গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবল অঙ্গনে লামিনে ইয়ামাল পাদপ্রদীপের আলোয় উঠে আসার পর নেট দুনিয়ায় ‘শিশু ইয়ামালকে মেসির গোসল করানোর কিছু ছবি’ ছড়িয়ে পড়েছে। কদিন আগে আলোয় আসে সাড়া জাগানো ছবিগুলোর পেছনের গল্প। এবার জানা গেল এতদিন ছবিগুলো প্রকাশ্যে না আসার কারণ। স্পেনের তরুণ সেনসেশন নিজেই জানালেন, আর্জেন্টাইন মহাতারকার সঙ্গে তার তুলনা এড়াতেই এসব লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।
ছবিগুলো তোলা হয়েছিল ২০০৭ সালে, ইয়ামালের বয়স তখন ৬ মাস। পাশে ছিলেন এবারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বিস্ময়বালকের মা শেইলা ইবানা। চলতি মাসের শুরুতে ছবিগুলো প্রকাশ্যে আসে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই নজর কাড়ে ফুটবল বিশ্বের।
ইউনিসেফের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাতালান পত্রিকা দিয়ারো স্পোর্তের একটি চ্যারিটি ক্যালেন্ডারের জন্য তোলা অনেক ছবির মধ্যে ছিল এগুলোও। তখন কে জানতো, ১৬ বছর পর সেদিনের ওই ছোট্ট শিশু ফুটবলের সবুজ আঙিনায় এভাবে নিজের পদচিহ্ন আঁকবে!
ইউরোর প্রথম সেমি-ফাইনালে গত মঙ্গলবার ফ্রান্সের বিপক্ষে শুরুতেই গোল খেয়ে বসে স্পেন। আসর জুড়ে অবিশ্বাস্য পারফর্ম করে চলা ইয়ামাল অবশ্য দলকে বেশিক্ষণ ভাবনায় রাখেননি। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে অসাধারণ এক গোলে দলকে পথ দেখান তিনি। গড়েন ১৬ বছর বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে ইউরোয় প্রথম গোল করার কীর্তি, সেটাও সেমি-ফাইনালের মঞ্চে।
অপেক্ষা এবার ফাইনালের, ট্রফি উঁচিয়ে ধরার স্বপ্ন সত্যি করার। শিরোপা লড়াইয়ে নামার দুদিন আগে ১৬ বছর আগের ছবিটি নিয়ে কথা বললেন ইয়ামাল।
“অবশ্যই, ছবিগুলো তোলার সময় কী হচ্ছিল, ওই বয়সে আমার বোঝার কথা নয়। আমার বাবার কাছে ছিল ছবিটা এবং কখনোই সেগুলো প্রকাশ্যে আসেনি। আসলে আমরা চাইনি, মেসির সঙ্গে আমার কোনো তুলনা হোক।”
“ফুটবলে সবসময়ের সেরার সঙ্গে তুলনা হলে নিশ্চয় কেউ বিরক্ত হবে না। কিন্তু এটা আপনার বিপক্ষে যেতে পারে, কারণ তার মতো হওয়া কখনও সম্ভব নয়।”
২০২৩ সালে বার্সেলোনার মূল দলে অভিষেকের পর দ্রুতই তাদের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ওঠেন ইয়ামাল। গত মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে বার্সেলোনার হয়ে খেলেছেন ৫০টির বেশি ম্যাচ। ক্লাবে আলো ছড়িয়ে নজর কাড়েন স্পেন জাতীয় দলের কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তেরও।
আর চলতি ইউরোয় তো বলা যায়, তিনি স্পেনের আক্রমণের মধ্যমণি হয়ে উঠেছেন। গত মাসে আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমেই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ট খেলোয়াড়ের ইতিহাস গড়েন তিনি। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে গড়ে ফেললেন সবচেয়ে কম বয়সে গোলের রেকর্ডও।