1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
জামালগঞ্জে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা সিলেটে শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসারকে অপসারণের দাবিতে গণস্বাক্ষর কার্যক্রম ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সেবার মান বাড়ানোর দাবিতে মতবিনিময় সুনামগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ বন্যার্তদের সহায়তায় সুনামগঞ্জে শিল্পকলা একাডেমির ব্যতিক্রমী ছবি আঁকার কর্মসূচি জগন্নাথপুরে শিক্ষিকা লাঞ্চিত: দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী সকল কালাকানুন বাতিলের দাবি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পান্নার মরদেহ হস্থান্তর করলো মেঘালয় পুলিশ কাদের সিদ্দিকী বললেন: বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয় বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বন্যায় ২০ লাখ শিশু ঝুঁকিতে : ইউনিসেফ

ইংল্যান্ডকে কাদিঁয়ে ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন স্পেন

  • আপডেট টাইম :: সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০২৪, ১২.২১ পিএম
  • ৩১ বার পড়া হয়েছে

হাওর ডেস্ক::
শুরুর গতিহীন, ঢিমেতালের ফুটবল পাল্টে গেল বিরতির পর। এগিয়ে গিয়ে আক্রমণের ঝড় তুলল স্পেন। ওই ঝড়ের মাঝেই ইংল্যান্ডের আশা হয়ে এলেন কোল পালমার, বদলি নেমেই দুর্দান্ত গোলে টানলেন সমতা। তবে এই স্পেন তো অন্য ধাঁচে গড়া। খেই না হারিয়ে, চাপ ধরে রেখে শেষ দিকে আরেকবার জালে বল জড়াল তারা। ১২ বছর পর আবার মাথায় তুলল ইউরোপ সেরার মুকুট।

বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে রোববার রাতে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ২-১ গোলে জিতেছে স্পেন। নিকো উইলিয়ামসের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ইংল্যান্ডের আশা জাগান কোল পালমার। তবে শেষদিকে তাদের স্বপ্ন গুঁড়িয়ে ব্যবধান গড়ে দেন মিকেল ওইয়ারসাবাল।

এতদিন সর্বোচ্চ ইউরো জয়ের রেকর্ড ছিল যৌথভাবে স্পেন ও জার্মানির। গতিময় ও নান্দনিক ফুটবলের পসরা মেলে চতুর্থবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেটা নিজের করে নিল স্প্যানিশরা।

স্প্যানিশদের ছয়ে-ছয় জয়ের তুঙ্গস্পর্শী আত্মবিশ্বাসের ওপর শিরোপা লড়াইয়ের স্নায়ুচাপ যেন চেপে বসে। আর এই চাপের কারণেই কি-না, শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবলের চেষ্টা করলেও প্রতিপক্ষের সীমানায় তেমন ধারাল হতে পারছিলেন না ইয়ামাল-উইলিয়ামসরা।

তুলনায় ইংল্যান্ড শুরুতে ছিল আরও সতর্ক। নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে মূলত পাল্টা আক্রমণের চেষ্টায় ছিল তারা, যদিও তারাও পারছিল না উল্লেখযোগ্য কিছু করতে। তাইতো, প্রথমার্ধে দুই গোলরক্ষকের কাউকেই কোনো পরীক্ষায় পড়তে হয়নি।

আসর জুড়ে দ্যুতি ছড়ানো নিকো উইলিয়ামস দশম মিনিটে বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন, তবে দারুণ এক স্লাইড ট্যাকলে তাকে রুখে দেন ডিফেন্ডার জন স্টোন্স। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সতীর্থের ফ্রি কিকে ছয় গজ বক্সে ফাঁকায় বল পান ফিল ফোডেন; কিন্তু দুরূহ কোণ থেকে গোলরক্ষক বরাবর শট নেন ম্যানচেস্টার সিটি মিডফিল্ডার।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মাঝমাঠের ভরসা রদ্রিকে বসিয়ে আরেক মিডফিল্ডার মার্তিন জুবিমেন্দিকে নামান স্পেন কোচ। এবং দ্বিতীয় মিনিটেই গোল আদায় করে নেয় তারা।

গোলটির সঙ্গে জড়িয়ে পুরো আসরে ক্রমেই প্রতিপক্ষের জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা ইয়ামাল-উইলিয়ামস জুটি। ডান উইং ধরে শাণানো আক্রমণে সতীর্থের বল পেয়ে একটু এগিয়ে বক্সে অন্য পাশে উইলিয়ামসকে খুঁজে নেন ইয়ামাল। আর বিনা বাধায় দারুণ কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন আথলেতিক বিলবাও ফরোয়ার্ড।

পরের মিনিটে আবার ইংলিশদের রক্ষণ উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। এবার উইলিয়ামস বক্সে খুঁজে নেন দানি ওলমোকে। তিনিও ছিলেন অরক্ষিত; কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে হতাশ করেন লাইপজিগ ফরোয়ার্ড।

খানিক পর সঙ্গের ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন মোরাতা, বাধা দিতে এগিয়ে আসেন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। স্পেন অধিনায়কের শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেও ঠিকানা খুঁজে পায়নি।

শুরু থেকে নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন হ্যারি কেইন। তাই আক্রমণের ধার বাড়াতে তাকে বসিয়ে সেমি-ফাইনালের জয়ের নায়ক অলি ওয়াটকিন্সকে নামান ইংল্যান্ড কোচ।

৬৬তম মিনিটে গোল পেতে পারতেন ইয়ামাল। ওলমোর পাস প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সে ঢুকতে গিয়ে একটু গড়মিল হয়ে যায়। তবে বল হারাননি তিনি। প্রতিপক্ষের বাধা এড়িয়ে শট নেন, ঝাঁপিয়ে তা রুখে দেন পিকফোর্ড।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ, আক্রমণে আধিপত্য, সবই ছিল স্পেনের দখলে। তবে আসরে বারবার দেখা গেছে, মন ভরানো ফুটবল না খেললেও প্রয়োজনের সময় ঠিকই গোল আদায় করে নিয়েছে ইংল্যান্ড।

ঠিক সেভাবেই ৭৩তম মিনিটে দারুণ এক গোলে সমতা টানেন তিন মিনিট আগেই বদলি নামা পালমার। বুকায়ো সাকার পাস বক্সে ধরে শট নেওয়ার মতো জায়গা না পেয়ে ব্যাকপাস করেন বেলিংহ্যাম, আর ২২ গজ দূর থেকে জোরাল শটে ঠিকানা খুঁজে নেন চেলসি ফরোয়ার্ড।

সেমি-ফাইনালে শেষ দিকে বদলি নেমে পালমারের অ্যাসিস্টেই গোল করে ব্যবধান গড়ে দিয়েছিলেন ওয়াটকিন্স।

৮২তম মিনিটে দলকে ফের এগিয়ে নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি ইয়ামাল। তার জোরাল শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন পিকফোর্ড। বেশিক্ষণ অবশ্য অপেক্ষায় থাকতে হয়নি স্পেনকে।

চার মিনিট পর বাঁ দিক থেকে ছয় গজ বক্সের মুখে দারুণ এক পাস বাড়ান মার্ক কুকুরেইয়া। আর ডান পায়ের স্লাইড শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন মোরাতার বদলি নামা ওইয়ারসাবাল।

নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল ইংল্যান্ড। ডেকলান রাইসের হেড গোলরক্ষক উনাই সিমন ঝাঁপিয়ে ফেরানোর পর, ফিরতি শট নেন মার্ক গেয়ি; কিন্তু গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন ওলমো। সুযোগ ছিল তারপরও, কিন্তু রাইসের পরের হেড হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট।

ইংলিশদের আরেকটি শিরোপা জয়ের অপেক্ষাও তাতে শেষ হলো না। সেই ১৯৬৬ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে আরেকটি ট্রফির অপেক্ষায় থাকা দলটি টানা দ্বিতীয়বার ইউরোর রানার্সআপ হলো।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!