স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমির হোসেন রেজার বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন ইউনিয়নের ১১ জন ইউপি সদস্য। মঙ্গলবার দুপুরে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর ৩৯ ধারার বিধান বলে এই আবেদন করেন। পরে বিকেলে সুনামগঞ্জ শহিদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনেলিখিত বক্তব্য দেন ইউপি সদস্য আব্দুল হাই।
ইউপি সদস্যদের মধ্যে ৪নং ওয়ার্ড সদস্য খুরশিদ মিয়া, ৬নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল হাই, ৩নং ওয়ার্ড সদস্য মঙ্গল মিয়া, ৪নং ওয়ার্ড সদস্য গিয়াস উদ্দিন, ৫নং ওয়ার্ড সদস্য ফিরো জমিয়া, ৩নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল হাই, ৯নং ওয়ার্ড সদস্য মোরশেদ মিয়া, ১নং ওয়ার্ড সদস্য আফসান পারভেজ, ৪,৫ ও ৬নং ওয়ার্ড এর সংরক্ষিত সদস্য শাহেনা আক্তার, ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ড এর সংরক্ষিত সদস্য তানজিনা বেগম এবং ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড এর সংরক্ষিত সদস্য মাজেদা আক্তার লিখিত অভিযোগে স্বাক্ষর করেন এবং চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেন রেজা নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব নেবার পরই ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও ইচ্ছেমতো প্রশাসন পরিচালনা করছেন। তিনি প্রায়ই ইউপি সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। বিভিন্ন সময়ে ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে প্রকল্প আতœসাত করেছেন বলেও অনাস্থাপত্রে উল্লেখ করেন সদস্যবৃন্দ। লিখিত বক্তব্যে তারা আরো উল্লেখ করেন চেয়ারম্যান পছন্দের লোক দিয়ে প্রকল্পগ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে বিভিন্ন সময়ে ৩ লাখ ৩৬ হাজার, ২ লাখ ৪০ হাজার, ১ হাজার ৬০০ কেজি চাল, এলজিএসপি প্রকল্পের ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা আত্মসাত করেছেন। এই অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য তানজিনা বেগম, আব্দুল হাই ও ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিনকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালসহ হুমকি ধমকি দিয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান তার ভাতিজা শিহাব আহমদ ও শিপু মিয়া প্রকাশ্যে ইউপি সদস্য তানজিনা বেগমকে শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত করেছে। এসব কারণে তাকে অপসারণ করার জন্য লিখিত আবেদনে দাবি জানান উক্ত ১১জন ইউপি সদস্য।