হাওর ডেস্ক:
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ঢাকায় সহিংসতার আগে হঠাৎ ১ লাখ সিম ব্যবহারকারী নতুন করে রাজধানীতে প্রবেশ করেছিল বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, ‘সেদিনই হামলা হয় সেতু ভবন, বিটিভি, মেট্রো রেল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনসহ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থাপনায়।’
শনিবার (২৭ জুলাই) সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গত ১৮ জুলাই বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালানোর জন্য এক লাখ নতুন সিমকার্ডধারী বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকায় প্রবেশ করে।
সেদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চালানো হয় ধ্বংসযজ্ঞ।’
তিনি বলেন, ‘বেছে বেছে সরকারি স্থাপনা ও যানবাহনে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়। এ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ বাহিনী এমনকি সাংবাদিকদের ওপরও হামলা করা হয়েছে।’
ইন্টারনেট ইস্যুতে বিদেশে বসে অপপ্রচার চলছে জানিয়ে পলক বলেন, ‘সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করেনি।
সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ব্রডব্যান্ড সেবা সচল রাখা সম্ভব হয়নি। অথচ এ বিষয়টি নিয়ে বিদেশে বসে অপপ্রচার চলছে।’
গত ১৮ জুলাই নাশকতাকারীদের ওই আগুনে সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দেশজুড়ে বন্ধ হয়ে যায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা। পরে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাত থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হলেও বন্ধ রয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট।
তবে মোবাইলে ফোরজি সেবা চালু করতে রবিবার (২৮ জুলাই) অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কবে থেকে মোবাইল ইন্টারনেট চালু করা হবে।