স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকায় ৬টি দোকানে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার রাতে তালাবদ্ধ দোকানগুলোতে একই সঙ্গে চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার এম. এন. মোরশেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারণেই থানা এলাকার মাত্র ২০০ ফুট দূরত্বের এই দোকানগুলোতে চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেন ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা।
পুলিশ ও ব্যবসায়ীরা জানান, ডিএস রোডের সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার লাগোয়া জেলা মুনসেফ ভবনের পরিত্যাক্ত ভবনের সামনে একটি মার্কেট রয়েছে। এই মার্কেটটি সুনামগঞ্জ থানা থেকে মাত্র ২০০ফুট দূরত্বে। এই মার্কেটে গার্মেন্ট, জুতা, মোবাইল সামগ্রীর দোকানসহ ১০টি দোকান রয়েছে। বরাবরের মতো মার্কেটটি তালা দিয়ে রবিবার রাতে চলে যান ব্যবসায়ীরা। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় মার্কেটের প্রবেশ গেইটের তালা খুলে ভিতরে ডুকেন তারা। আমির ফ্যাশন, প্রভা সুজ, বিসমিল্লাহ মশারি নেট সেন্টার, ফারিয়া টেলিকমসহ ৬টি দোকানের মালিকরা নিজ নিজ দোকান খুলে দেখেন উপরের টিন কেটে চোররা ক্যাশ বাক্স ও দোকানের বিভিন্ন জিনিষপত্র নিয়ে গেছে। এর মধ্যে আমির ফ্যাশনের প্রায় ২ লাখ টাকা মূল্যবান কাপড়, নগদ ২৫ হাজার টাকা, প্রভা সুজের প্রায় ৪০ হাজার টাকার মূল্যবান জুতা, নগদ ৫ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। দোকান খোলার পর এই বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে অবগত করেন ব্যবসায়ীরা। খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার এম. এন. মোরশেদ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এসময় ব্যবসায়ীরা জেলা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও জেলা বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সোহেল আহমেদকে জানালে তিনিও ছুটে আসেন।
প্রভা সুজের স্বত্তাধিকারী সুমন বর্মণ বলেন, আমার দোকান থেকে প্রায় ৪০ হাজার টাকার মালামালসহ নগদ ৫ হাজার টাকা চুরি গেছে। বাকি ৫ দোকানেরও নগদ টাকা ও পন্য নিয়ে গেছে চোররা। আমাদের বড়ো ক্ষতি হয়ে গেছে।
জেলা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও জেলা বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সোহেল আহমেদ বলেন, পুলিশের অবর্তমানে থানার পাশে অবস্থিত শহরের সবচেয়ে ব্যস্ত এলাকায় এমন দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। সার্বিক নিরাপত্তা, চুরি, ডাকাতি, খুন ও রাহাজানি বন্ধসহ পুলিশ, রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য কতটা জরুরি আমরা গত এক সপ্তাহ ধরে দেখছি। তবে সোমবার থেকে পুুলিশ আবার মাঠে নামায় আমাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার এম. এন. মোরশেদ বলেন, খবর পাওয়ার পর সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমাদের কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। আমরা চোরদের ধরতে কাজ শুরু করেছি।