হাওর ডেস্ক::
ছাত্র-জনতার বিজয়কে সংহত করে অপশক্তি সম্পর্কে সজাগ থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণবিক্ষোভ গণঅভ্যুত্থানে রূপান্তরিত হয়েছিল। ব্যাপক হত্যাযজ্ঞের পরও অতীতে কোনো বিক্ষোভে ছাত্র-জনতার এমন অংশগ্রহণ দেখা যায়নি। গণঅভ্যুত্থানে পতিত স্বৈরাচার ও স্বৈরাচারী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে, গণঅভ্যুত্থানের সফলতা রক্ষা করে পূর্ণ গণতান্ত্রিক অধিকার অর্জন না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।
আজ শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পার্টির ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির সভায় এ সব কথা বলেন তিনি। ঢাকা জেলা কমিটির সভাপতি সুকান্ত শফি চৌধুরী কমলের সভাপতিত্বে ও বিভাগীয় সমন্বয়ক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রফিকুজ্জামান লায়েকের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য প্রদান করেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক এ এন রাশেদা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ঢাকা উত্তরের সভাপতি ডা. সাজেদুল হক রুবেল, ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী, মানিকগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, মুন্সীগঞ্জ জেলার নেতা স ম কামাল হোসেন, ফরিদপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক অরুণ কুমার শীল, ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক আবিদ হোসেন, টাঙ্গাইল জেলার সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান মতি, শরীয়তপুর জেলার সভাপতি নুরুল হক ঢালী ও সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত ভাওয়াল, মাদারীপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান সানু, কিশোরগঞ্জ জেলার সহ-সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত সরকার, নরসিংদী জেলার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন শান্তি, গাজীপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক কাজী রুহুল আমিন প্রমুখ।
সভায় রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘নানা অপশক্তি এই সফলতা তাদের স্বার্থে কাজে লাগাতে চাইবে, এ বিষয়ে সতর্ক থেকে এগুতে হবে। বিশেষত সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, ৭১-এর যুদ্ধাপরাধীরা নানাভাবে সামনে আসছে।
এসব বিষয়ে বিশেষভাবে সচেতন থেকে সংগ্রাম ও সামগ্রিক কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ধ্বংসপ্রাপ্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াগুলোকে কার্যকর ব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে। সবার গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এক ফ্যাসিবাদী শাসকের বদলে অন্য ফ্যাসিবাদী শাসক বা ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
’
সভায় অন্যান্য নেতৃবৃন্দ নির্বাচনের নামে প্রহসনের খেলা বন্ধ, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চালু, নির্বাচনে টাকা-পেশী-প্রশাসনিক কারসাজি ও সাম্প্রদায়িক প্রচারণার ব্যবহার রোধসহ সর্বোচ্চ সংস্কার সাধনের জন্য নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের আলোচনা শুরুর আহ্বান জানান।