স্টাফ রিপোর্টার::
কবি আমিনা শেলীর ‘দেহপসরা’ শারিরীক ও মানসিক আভার এক অনবদ্য কাব্য। রূপান্তরিত দেহের ঋতু পরিক্রমায় একজন কবি পেলবতায় সুখানুভূতি ও বিষাদনুভূতির চিত্র প্রোজ্জ্বল করে তুলেছেন। তার কাব্যগ্রন্থ আমাদের বোধে, চিন্তায় বিশেষ নান্দনিক ও সৃষ্টিশীল প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। দেহাতীত সৌন্দর্য্যকে পেলব আভায় বাঙময় করেছেন তিনি পঙক্তিতে, উপমায় ও রূপকে।
রবিবার রাতে সিলেট শহরের জিন্দাবাজারস্থ একটি রেস্টুরেন্টে ‘দেহপসরা’ কাব্যগ্রন্থের পাঠ উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন লেখক গবেষক অধ্যাপক ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ। পাঠ উন্মোচন অনুষ্ঠানে সিলেটের বিশিষ্ট কবি, গবেষক ও লেখকরা উপস্থিত ছিলেন।
দেহপসরা নিয়ে আলোচনা করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কবি ও গবেষক ড. জফির সেতু, কবি হেলাল চৌধুরী, ড. মো. তুতীয়র রহমান, কবি মালেকুল হক, লেখক গবেষক আজির হাসিব, গল্পকার নেসার শহিদ, কবি শামস শামীম, কবি রাজীব চৌধুরী, কবি কাজী জিন্নুর, কবি ওয়াহিদ রোকন, লেখক-গবেষক বিজিত দেব, নাট্যকার সুফি সুফিয়ান, কবি ও সম্পাদক মোহাম্মদ জায়েদ আলী, স্থপতি আব্দুল্লাহ আশরাফ, আতিক আহমদ ও সমাজকর্মী মিজানুর রহমান।
পাঠ উন্মোচন অনুষ্ঠানে কবি আমিনা শেলীও তার কবিতাযাপন, লেখালেখি ও কাব্যচর্চা নিয়ে কথা বলেন।
কবি জফির সেতু তার আলোচনায় বলেন, দেহ কিভাবে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায় ‘দেসপসরা’তে সেটাই দেখিয়েছেন কবি আমিনা শেলী।
উল্লেখ্য এবারের একুশে বইমেলায় নাগরী প্রকাশন কবি আমিনা শেলীর তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘দেহপসরা’ প্রকাশ করেছে। এটি কবির তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ।