নিজস্ব প্রতিবেদক::
পুলিশের সাবেক ডিআইজি সুনামগঞ্জের মধ্যনগরের বাসিন্দামো. আব্দুল বাতেন ও তার স্ত্রী নুর জাহান আক্তার হীরার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে তাদের বিরুদ্ধে এ দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন। তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আবদুল বাতেনের বিরুদ্ধে ২ কোটি ২৯ লাখ ২৪ হাজার ৭৪৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। তাঁর সাতটি ব্যাংক হিসাবে ১৩ কোটি ২২ লাখ ২৭ হাজার ৫১১ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
অপরদিকে, সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেনের স্ত্রী নূর জাহান আক্তার হীরা স্বামীর সহযোগিতায় জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৮৫ লাখ ৪১ হাজার ৮০৮ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়াও তার নিজ নামে চারটি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে আট কোটি ৭৪ লাখ ৩২ হাজার ৭০২ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। এসব অভিযোগে তাদের দুজনকে আসামি করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানিলন্ডারিং আইনে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি আবদুল বাতেনের স্থাবর–অস্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দেন আদালত। গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর আবদুল বাতেনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় নিহত আবু সাঈদের এলাকা রংপুরে তিনি কর্মরত ছিলেন। গত বছরের ১৩ আগস্ট রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আবদুল বাতেনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেনের বাড়ী সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার দাতিয়াপাড়া গ্রামে।