স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে বন্যাপরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। শনিবার রাত থেকে বর্ষণের কারণে জেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পাহাড়ি ঢলে সদর উপজেলার ধারারগাও সেতু ভেঙ্গে শরাফত আলী নামের এক যুবক নিখোজ রয়েছে। ধর্মপাশা উপজেলার ধারাম হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে হাওরের উত্তাল ঢেউয়ে ডুবে সচীন্দ্র দাস নামের এক মৎস্যজীবি নিখোঁজ রয়েছে। পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণ অব্যাহত থাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাসে যেতে পারছেনা। অনেকে ঝুকি নিয়ে যাতায়াত করছে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের বন্যানিয়ন্ত্রণ সেল সূত্রে জানা গেছে রবিবার সকাল ৯টায় সুনামগঞ্জের নবীনগরে ধারারগাও সেতুর সংযোগ ভেঙ্গে নবীনগর গ্রামের আলমাছ আলীর ছেলে শরাফত আলী নিখোজ রয়েছে। তার সন্ধানে সুনামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান চালালেও এখনো সন্ধান পায়নি। এদিকে একই সময়ে ধর্মপাশা উপজেলার ধারাম হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে হাওরের উত্তাল ঢেউয়ে নৌকা থেকে পড়ে নিখোজ হয়েছে সচীন্দ্র দাস নামের এক জেলে। তার সন্ধানও মেলেনি। পাহাড়ি ঢলে নবীনগর সড়ক ডুবে সুনামগঞ্জের সঙ্গে চারটি ইউনিয়নের ৫০টি গ্রামের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তাছাড়া পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে সুনামগঞ্জ সদর, দোয়ারাবাজার, ছাতক, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ ও ধর্মপাশা উপজেলার শতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
সুনামগঞ্জ বন্যানিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কামরুজ্জামান বলেন, পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যপিরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ধর্মপাশা ও সুনামগঞ্জ সদরে দুইজন নিখোজ রয়েছে। দুর্গত লোকদের সহায়তার জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত রয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারি প্রকৌশলী মো. খলিলুর রহমান বলেন, রবিবার দুপুরে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৮৯ সেন্টিমটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।