অনলাইন::
এবার রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘে মুখ খুলল মিয়ানমার। নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের চলমান সাধারণ অধিবেশনে গতকাল বুধবার দেশটির উপ-রাষ্ট্রপতি হেনরি ভান থিও বলেন, নিরীহ বেসামরিক মানুষের ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি এড়াতে সব ব্যব্স্থা নিতে নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছে তাদের সরকার।
তিনি বলেন, শুধু রাখাইনের মুসলনমানরাই পালিয়ে (বাংলাদেশে) যায়নি, অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সদস্যরাও গেছে। সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতিতে মিয়ানমার সরকার গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ভান থিও বলেন, অভিযান পরিচালনার সময় নিরীহ বেসামরিক মানুষের ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি এড়াতে বাহিনীগুলোকে আচরণবিধি মেনে চলতে ও সংযম বজায় রাখতে সব ব্যবস্থা নেওয়ার কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি সু চি। ভাষণে সু চি ৫ সেপ্টেম্বরের পর রাখাইনে কোনো ধরনের সহিংসতা বা নির্মূল অভিযান হয়নি বলে যে দাবি করেছেন, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সেই কথার পুনরাবৃত্তি করেন মিয়ানমারে উপ-রাষ্ট্রপতি ভান থিও। তিনি বলেন, রাখাইনের মুসলনমানদের দলে দলে দেশান্তরী হওয়ার পেছনের কারণ আমাদের খুঁজে বের করা প্রয়োজন।
উপ-রাষ্ট্রপতি ভান থিও জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে সহিংসতায় নিহতদের পরিবারের পাশাপাশি বিদ্রোহীদের হামলায় নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের প্রতিও গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। ভান থিও জানান, সঙ্কট সমাধানে কফি আনান নেতৃত্বাধীন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর অধীনে একটি কমিটি হয়েছে। মিয়ানমার ও তার বাইরে থেকে ‘নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিদের’ নিয়ে সরকার আরেকটি উপদেষ্টা বোর্ড গঠন করবে।