স্টাফ রিপোর্টার::
পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে জেলার চার উপজেলার আমন, আমন বীজতলা, সব্জি ও রোপা আমনের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৩৩৩ হেক্টর জমির নানা ফসল নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। কৃষি বিভাগের মতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দোয়ারাবাজার উপজেলা। তবে বেসরকারি হিসেবে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ আরো বেশি বলে স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জানান।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাহ ধরে সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। পাহাড়ি ঢলে ১০৫ হেক্টর আমন, ৩৫ হেক্টর সব্জি এবং ১৩৮ হেক্টর বীজতলা নষ্ট হয়েছে। সূত্র মতে দোয়ারাবাজার উপজেলায় ১০৫ হেক্টর, তাহিরপুরে ৬০ হেক্টর, বিশ্বম্ভরপুরে ৫০ হেক্টর এবং সদর উপজেলায় ৪০ হেক্টর ফসলের ক্ষতি হয়েছে। অন্যান্য উপজেলায়ও অল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। এদিকে স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন পাহাড়ি ঢলে প্রকৃত ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ আরো বেশি।
জানা গেছে জেলা কৃষি বিভাগ গত ২২ জুলাই ক্ষয়-ক্ষতির এ প্রতিবেদন উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে প্রেরণ করেছে। পানি নেমে গেলে আরেকবার ক্ষতির পরিমাণ তৈরি করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
সুরমা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. আব্দুল হাই বলেন, আমাদের নদীর উত্তরপাড়ে আমন ও সব্জির পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষকরা মাথায় হাত দিয়ে আহাজারি করছেন। তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া জরুরি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জাহেদুল হক বলেন, পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দোয়ারাবাজার উপজেলা। এছাড়াও তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর এবং সদর উপজেলায়ও ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। গত ২২ জুলাই ক্ষয়-ক্ষতির প্রতিবেদন উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।