স্টাফ রিপোর্টার::
বাউল সম্াট শাহ আবদুল করিমের জন্মভিটা দিরাইয়ে তাঁর শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত কালনী নদীতে ‘শাহ আবদুল করিম নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শাহ আবদুল করিম স্মৃতি ও গবেষণা পরিষদ আয়োজিত এই নৌকা বাইচে হাওরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ৩০টি নৌকা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। নদীর দুই তীরের প্রায় তিন কি.মি. এলাকায় সাড়ি সাড়ি দাড়িয়ে ঐতিহ্যবাহী এই নৌকা বাইচ প্রত্যক্ষ করেন হাজারো দর্শক। প্রতিযোগিতা শেষে সন্ধ্যায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. জয়া সেনগুপ্তা বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়র বিশ্বজিৎ রায়, শাহ আবদুল করিম স্মৃতি ও গবেষণা পরিষদের উপদেষ্টা শাহ আবদুল তোয়াহেদ, পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ চৌধুরী প্রমুখ।
শাহ আবদুল করিম স্মৃতি ও গবেষণা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে শাহ আবদুল করিমের নামেই এবার তার শৈশবের প্রিয় নদী কালনীতে নৌকাবাইচের উৎসব আয়োজন করা হয়। দুটি ক্যাটাগরিতে সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জসহ হাওর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গত শনিবার ২৪টি নৌকা রেজিস্ট্রেশন করে। রবিবার সকাল থেকেই দিরাই পৌর শহরের নদীর দুই তীরে প্রায় ৩কি.মি এলাকাজুড়ে সারি সারিভাবে দর্শকরা উপস্থিত হন। রবিবার দুপুর থেকেই দুই ক্যাটাগরিতে বাইচে অংশ নেয় নৌকাগুলো। বাইচালরা ছিলেন লাল ও হলুদ গেঞ্জিপড়া। তাদের কণ্ঠে ছিল শাহ আবদুল করিমের নৌকা বাইচের গান। বাইচের তালে তালে কোরাসণ্ঠে নৌকা বাইচের গান আলাদ দ্যোতনা তৈরি করেছিল দর্শকদের মনে।
নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় প্রথম হয় দিরাই উপজেলার নাসিরপুর নৌকা। দ্বিতীয় হয়েছে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং এলাকার ‘বাঘহাতা’ নৌকা। তৃতীয় হয়েছে দিরাই উপজেলার মেঘনা নৌকা। বিজয়ীদের আকর্ষণীয় পুরষ্কারের পাশাপাশি প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সবগুলো নৌকার সংশ্লিষ্টদের শান্তনা পুরস্কার দেওয়া হয়।