পি সি দাশ, শাল্লা ::
শাল্লার গিরিধর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনের পুরাতন বিশাল রেন্টি গাছটি সরকারি অনুমোদন ছাড়াই কেটে ফেলায় বৃহস্পতিবার উপজেলা মাসিক সভায় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে উপস্থাপন হয়েছে। এসময় সভায় উপস্থিত মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার কালিপদ দাসের কাছে গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এবিষয়ে অবগত নন বলে সভাকে অবহিত করেন । তিনি আরো বলেন সরকারী প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটতে হলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমোদন প্রয়োজন হয় তারা কি করে কাটলেন আমার জানা নেই। পরে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মাছুম বিল্লাহ সভার অনুমতিক্রমে গাছ কাটার বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থার নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে এবং গাছ কাটা আইনসংগত নয় বিধায় বিষয়টি সভার রেজুলেশনে অন্তরভুক্ত হয়।
জানা যায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিনা অনুমতিতে ৩৭ হাজার ৫০০ শত টাকায় বিক্রি করেছে গাছটি । প্রায় দেড় বছর আগে একটি গাছ ঝড়ে ভেঙ্গে বিজ্ঞান ভবনের পেছনে পরে রয়েছে সেটির কোন ব্যবস্থা করছেনা কর্তৃপক্ষ। এবার হঠাৎ বিনা প্রয়োজনে এই বিশাল ও ঐতিহ্যবাহী গাছটি কাটায় এলাকায় তোলপার সৃষ্টি হয়েছে । এলাকার রাস্তা ঘাট হাট বাজার সর্বত্রই মানুষ জন আলোচনা করছে কেন এই সুন্দর গাছটি কাটলেন তারা। জানা যায় বিদ্যালয়ে বর্তমানে আর্থিক অবস্থা ও ভাল তার পর ও কেন গাছটি কেটে পরিবেশ বিপর্যয় সৃষ্টি করা হয়েছে তা নিয়ে অনেকেই ক্ষুব্ধ ।
বিদ্যালয়ের প্রায় ৮০০ শত শিক্ষার্থী যে গাছটির শীতল ছায়ায় বসে মনের আনন্দে গল্প করতেন হঠাৎ কেন সে বিশাল গাছটি কাটা হল এ প্রশ্ন এখন সবার মনে ।
তবে প্রধান শিক্ষক আনন্দ মোহন দাস বলছেন ভবনের টিন ও ছোট ছোট গাছগলোকে রক্ষা করার জন্যেই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গাছটি কেটেছেন ।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মৃদুল চন্দ্র দাস জানান কমিটির সিন্ধন্ত অনুযায়ী উপ-কমিটির মাধ্যমে গাছটি বিক্রি হয়েছে। কত টাকায় গাছটি বিক্রি করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি সিলেটে আছি সেটি সঠিক বলতে পারনা তবে শুনেছি ৩৭ হাজার ৫০০ শত টাকায় গাছটি বিক্রি করা হয়েছে ।