স্টাফ রিপোর্টার::
পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য আয়ূব বখত জগলুল বলেছেন, যারা এখন মোশতাক মোশতাক করে তারা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যার পর গা ঢাকা দিয়েছিল। আমরা তখন দুয়া পড়ানোর জন্য একজন মওলানাকেও পাইনি। এরাই এখন আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে ঢাকায় বাড়িগাড়ি করছে। আখের গোছাচ্ছে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের জনৈক নেতার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, বড় বড় কথা বলেন, ৫৬ বছর রাজনীতি করেছেন বলেন, তখন কোথায় ছিলেন। আমরাতো আপনাকে দেখিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় আমার বাড়িঘর পুড়েছিল তখন আপনারা কোথায় ছিলেন, আপনার বাড়িঘরতো অক্ষত ছিল। তিনি বলেন, আপনার আত্মীয় স্বজন জেলার সবচেয়ে বড় রাজাকার ছিল। আপনিও ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে। এখন মোস্তাক মোস্তাক বলেন আপনি, কোথায় ছিলেন ৭৫ এর পরে। তা সবাই জানে।
তিনি বলেন, ঢাকায় গিয়ে ব্যবসার প্রসার ঘটিয়েছেন। নিজের আখের গুচিয়েছেন। পার্টির জন্য কিছুই করেননাই। কোন ত্যাগ শিকার করেন নাই। মেয়র জগলুলের বক্তব্যের সময় সময় নেতাকর্মী করতালি দিয়ে অভিননন্দন জানান এবং তাকে আগামীতে সুনামগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য দাবি জানান।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মিত হচ্ছে উল্লেখ করে মেয়র জগলুল বলেন, সারা দেশে কাঙ্খিত উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন ও সফলতা সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ তৃণমূলে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা আজ আখের গোছাতে ব্যস্ত। তারা ঢাকায় বিলাসী জীবনযাপন করে। তিনি বলেন, আপনাদের ভালোবাসা সমর্থন ও জননেত্রী শেখ হাসিনার আশির্বাদে আমি সুনামগঞ্জ-৪ আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করতে চাই। তার এই বক্তব্যের সময় নেতাকর্মীরা তাকে করতালির মাধ্যমে অভিনন্দন জানান।
বুধবার রাতে পৌর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ৯নং ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময়সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি জন্টু তালুকদারের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. চান মিয়া, জিতেন্দ্র তালুকদার পিন্টু, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নজরুর ইসলাম, অ্যাড. শুকুর আলী, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি বিকাশ কান্তি দে বাবুল, সহ সভাপতি মোজাহের আলী, শফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাজিদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকতুল ইসলাম শওকত, দপ্তর সম্পাদক লিটন সরকার, প্রচার সম্পাদক শামছুল কাদির মিছবাহ, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা অজুর মিয়া, শাহরিয়ার আহমেদ, রিগ্যান, মিঠুন, রাজকুমার প্রমুখ।