শাল্লা প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের শাল্লায় এক হতদরিদ্র শ্রমিকের স্কুল পড়–য়া কন্যাকে অপহরণ ও ধর্ষণের পর স্থানীয় পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছিল। কিন্তু প্রভাবশালীদের ভয়ে পুলিশ ওই দরিদ্রের মামলা নেয়নি। তাকে দিয়ে পছন্দমতো তিনবার তিনটি আবেদন করানো হয়। অবশেষে সুনামগঞ্জের সৎ ও সাহসী পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলা নেওয়া হয় এবং তিনি আসামীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। শাল্লা গোবিন্দ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী এক ধর্ষণ মামলায় জড়িতদের জরুরি ভিত্তিতে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ।
বুধবার বেলা ১১ টায় পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ শাল্লা থানা পরির্দশনে এসে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বজলার রহমানকে এই নির্দেশ দেন। এসময় তিনি বলেন,‘ছাত্রী ধর্ষণ মামলার সঙ্গে জড়িতরা যেই হোক তারা কেউ পার পাবে না। পুলিশ তাদের খোঁজে বের করবেই।’
পুলিশ, এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ২০ জুলাই সুলতানপুর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে মাসুম মিয়া (২৪) ও একই গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ছেলে আতিকুর (১৯) এই ছাত্রীকে জোর করে উঠিয়ে শাল্লা সদর বাজারে বিল্লাল মিয়ার ঘরের ভিতরের বাথরুমে আটক রেখে ধর্ষণ করে। ২৫ আগষ্ট সোমবার মেয়ের পিতা বাদী হয়ে বখাটে মাসুম ও আতিকুরকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। তবে প্রভাবশালী এক যুবলীগ নেতার কারণে পুলিশ বিলম্বে মামলাটি গ্রহণ করে বলে জানা গেছে। মামলার ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি থানা পুলিশ । এ বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ সুপার আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন।
ছাত্রীর পিতার বলেন,‘আমি গরিব অসহায় মানুষ। অন্যের বাড়িতে কাম (কাজ) করে খুব কষ্ট কইরা মেয়েডারে লেখা পড়া করাইতাছি। আমার মেয়ের সাথে এই ঘটনা যারা ঘটাইছে তারা খুব প্রভাবশালী।’
তিনি আরো বলেন,‘ঘটনার পর থেকে তাকে যেখানেই পাবে প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছে এই প্রভাবশালী অপরাধী মহল। এখন তিনি তার পরিবার নিয়ে শঙ্কিত রয়েছেন বলে জানান।
দিরাই-শাল্লার সার্কেল এএসপি সুরত আলী বলেন, পুলিশ নিয়ে ঘটনার দিন মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছিল। পরে এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। আমরা আসামীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছি।
শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ বজলার রহমান বলেন,‘আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’