স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম বলেছেন, দেশকে ভালোবাসলে জাতীয় সঙ্গীতকে সম্মান করতে হবে। নঠিক সুর ও কথায় জাতীয় সঙ্গীত গাইতে হবে। তিনি বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশে জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পতাকা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে ধারণ করেনা, ভালোবাসেনা তাদের এই দেশে থাকার অধিকার নেই। প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে সঠিক সুরে ও কথায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনে উদাসীনতার বিষয়টি উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে এসেম্বলি বাধ্যতামূলক করেছে। এই বিধি না মেনে যেসব শিক্ষক জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের প্রতি উদাসীন তাদের এই দেশে থাকার অধিকার নেই।
শুক্রবার সকালে গৌরারং ইউনিয়নের জগাইরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘আব্দুল হেকিম স্মৃতি মেধা বৃত্তি পরীক্ষা’র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জগাইরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আব্দুল হাকিম স্মৃতি বৃত্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাইয়ুম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান, সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার সোলেমান মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক সিভিল সার্জন মোনাওর আলী, গৌরারং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফুল মিয়া, সহকারী অধ্যাপক জিল্লুর রহমান, লালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল হক প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে এসে জেলা প্রশাসক জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের বিষয়টি অবতারণা করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলামকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ানের নাতী সাদিয়া নৌশি। পরে ৩৬ জন বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তির সম্মানী নগদ টাকা, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট পুরস্কার হিসেবে তুলে দেন অতিথিরা। প্রথমবারের মতো এই মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় কেবল গৌরারং ইউনিয়নের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছে।
উল্লেখ্য আব্দুল হেকিম তালুকদার সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সুনামগঞ্জের একজন প্রবীণ শালিস ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার সম্মানে এই মেধাবৃত্তি চালু করেন তার জ্যষ্ট সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান।