স্টাফ রিপোর্টার::
নিজের সকল পৈত্রিক সম্পত্তি বাবার নামে চালুকৃত শিক্ষা ট্রাস্টে দান করলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান। শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের জগাইরগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘আব্দুল হেকিম তালুকদার স্মৃতি মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় পুরস্কার বিতরণ’ অনুষ্ঠানে তিনি শুভেচ্ছা বক্তব্য দিতে এসে এই ঘোষণা দেন। শিক্ষা ও কল্যাণে তাঁর এই ঘোষণাকে অভিনন্দন জানান জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম। উল্লেখ্য আব্দুল হেকিম তালুকদারের মৃত্যুর পর তার জ্যষ্ট পুত্র হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান ‘আব্দুল হেকিম তালুকদার স্মৃতি মেধাবৃত্তি’ পরীক্ষার আয়োজন করেন।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে আবু সুফিয়ান বলেন, আমার বাবা ছিলেন এই অঞ্চলের সর্বজন শ্রদ্ধেয় একজন জনপ্রতিনিধি ও শালিসী ব্যক্তিত্ব। তিনি মানুষের কল্যাণে তার চিন্তা চেতনাকে কাজে লাগিয়েছিলেন। তার মৃত্যুর পর আমি তার নামে প্রথম বারের মতো স্মৃতি মেধাবৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। তিনি বলেন, আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। আমার চার সন্তানদের নিয়ে আমি চিন্তা করিনা। কারণ তারা পড়ালেখা করে নিজেদের জীবন পরিচালনার পথ বেছে নিয়েছে। তারা আমার সম্পদ ছাড়াই নিজেদের জীবন নির্বাহ করতে পারবে। আমিও আমার সন্তানদের সেভাবেই তৈরি করেছি। আবু সুফিয়ান বলেন, আমার বাবার নামে এই মেধাবৃত্তি চালুর পর আমার মনে হয়েছে পৈত্রিক সূত্রে আমি যে সম্পদ পাব তা এই খাতেই দান করে দেব। প্রজন্ম শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয়ে দেশ ও মানুষকে ভালোবাসলে আমিও খুশি। এসময় তিনি আবেগঘন বক্তব্য দেন। তার এই ঘোষণাকে অভিনন্দন জানান উপস্থিত সুধীজন।
মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ানের বক্তব্যের পর জেলা প্রশাসক সাবিরুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান নিজের জীবন বাজি রেখে দেশ ও মানুষকে ভালোবেসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে এই দেশ স্বাধীন করেছিলেন। তার পক্ষেই কল্যাণের এমন পথে সবকিছু বিলিয়ে দেওয়া সম্ভব। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা হচ্ছেন ত্যাগের প্রোজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব। ১৯৭১ সনে আবু সুপিয়ানরা দেশের জন্য নিজেদের ত্যাগ করেছিলেন। আজও এই দেশকে এগিয়ে নিতে তারা ত্যাগ করেই যাচ্ছেন। জেলা প্রশাসক এই মহৎকাজে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতার আহ্বান জানান।