অনলাইন ডেক্স::
চলে গেলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী। গুরুতর অসুস্থ হয়ে কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা ১৬ মিনিটে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। গত ২২ মে ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন এই হাসপাতালে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
মহাশ্বেতা দেবী দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। দীর্ঘদিনের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের জন্য তাঁর দুটি কিডনিই বিকল হয়ে গিয়েছিল। শেষ মুহূর্তে ডায়ালাইসিসও করা যায়নি । ২৪ ঘণ্টাই তাঁকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছিল।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মহাশ্বেতা দেবী এই হাসপাতালে এর আগে বেশ কয়েকবার ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। কিন্তু এবারের মতো এত সংকটজনক অবস্থায় পড়েননি তিনি। তাই তাঁর চিকিৎসাও কঠিন হয়ে পড়েছিল। মহাশ্বেতা দেবীর চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গড়া হয়েছিল ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড।
‘হাজার চুরাশির মা’ খ্যাত এই লেখকের মৃত্যুতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘ভারত একজন মহান লেখককে হারাল। বাংলা হারাল একজন মহিমান্বিত মাকে। আমি আমার একজন পথপ্রদর্শককে হারালাম। মহাশ্বেতার আত্মা শান্তিতে থাকুক।’
মমতা সাংবাদিকদের বলেন, আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মহাশ্বেতা দেবীর প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ রবীন্দ্রসদনে রাখা হবে। এরপর মরদেহ নিয়ে কলকাতায় মহা শোক মিছিল হবে। এরপর দুপুরে কেওড়াতলায় মহাশ্মশানে তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
মহাশ্বেতা দেবীর জন্ম বাংলাদেশের ঢাকাতে। ১৯২৬ সালের ১৪ জানুয়ারি। তাঁর লেখা ‘হাজার চুরাশির মা’, ‘সংঘর্ষ’, ‘রুদালি’সহ বেশ কয়েকটি উপন্যাসের চলচ্চিত্র হয়েছে। পেয়েছেন তিনি সাহিত্য একাডেমি ও জ্ঞানপীঠ পুরস্কার। আরও পেয়েছেন পদ্মবিভূষণ, র্যামন মেগসাইসাই পুরস্কার ইত্যাদি।