অনলাইন::
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকারের গৃহীত উদার বাণিজ্যনীতির ফলে দেশে বিনিয়োগ ও ব্যাবসা বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বৈদেশিক বিনিয়োগ ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিদেশি বিনিয়োগ ও রপ্তানির প্রতি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৮’ উপলক্ষে আজ দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে মাসব্যাপী ২৩তম ঢাকা ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আগমীকাল ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বিদেশি শিল্পোদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী ও আমদানিকারকদের নিকট আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। অবকাঠামোখাতে আমাদের উদ্যোগ ইতোমধ্যে অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনতে সক্ষম হয়েছে। বিদ্যুতের উৎপাদন কয়েকগুণ বেড়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেন, আমরা নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছি। আমরা দেশ ও জাতির প্রয়োজনে সবসময় দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে যাব এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করব।
তিনি বলেন, এই মেলাটি বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সর্বাধুনিক জ্ঞান, প্রযুক্তি ও অগ্রগতির সাথে সংযুক্ত রাখার একটি সময়োচিত পদক্ষেপ।
এ মেলায় একদিকে যেমন দেশি বিদেশি ভোক্তারা আমাদের দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্যের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে পরিচিত হতে পারবেন, অপরদিকে দেশি উদ্যোক্তাগণ বিদেশি পণ্য, সর্বশেষ ডিজাইন, স্টাইল এবং বিদেশি ক্রেতাদের রুচি, মান, চাহিদা ইত্যাদি বিষয়ে ধারণা লাভ করতে পারবেন।
ফলে রপ্তানিপণ্য বহুমুখীকরণের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং সাথে সাথে দেশীয় উদ্যোক্তাগণ প্রয়োজন অনুযায়ী তাদের পণ্যের গুণগত মানোন্নয়নে তৎপর হবেন ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে দেশি পণ্যকে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে নেওয়ার প্রয়াস পাবেন। পাশাপাশি বিদেশি অংশগ্রহণকারীগণও আমাদের ব্যাবসা, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ আবহ সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা নিতে পারবেন বলে তিনি বাণীতে উল্লেখ করেন।
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৮ দেশীয় পণ্যের উৎপাদনকারী ও বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে অধিকতর আগ্রহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন এবং ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৮ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।