স্টাফ রিপোর্টার:
ক্যনাসার শনাক্তকরণ যন্ত্রের উদ্ভাবক অষ্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত সুনামগঞ্জের তরুণ বিজ্ঞানী ড. জহিরুল আলম সিদ্দিকী বলেছেন, বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজনীতির উর্ধ্বে রাখতে হবে। এই তিনটি জিনিষ হচ্ছে আমাদের মৌলিক। এগুলোকে শ্রদ্ধা করতে হবে। কারণ বঙ্গবন্ধুর ডাকেই মুক্তিযোদ্ধারা এই দেশ স্বাধীন করেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধারা সর্বকালে সর্বশ্রেষ্ট। কেউ ইচ্ছে করলেই আর মুক্তিযোদ্ধা হতে পারবেনা।
রোববার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ শহীদ জগৎজ্যোতি পাঠাগার কর্তৃপক্ষ আয়োজিত এক সান্ধ্য আড্ডায় সুধীজনের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন অষ্ট্রেলিয়ান গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এই তরুণ বিজ্ঞানী। তিনি তাঁর শৈশব, কৈশর, যৌবনের নানা ঘটনা ঘাত-প্রতিঘাতের কথা অকপটে স্বীকার করেন। তিনি বিদেশে তাঁর পেশাগত জীবন ও দেশভাবনা নিয়েও কথা বলেন। তাঁর কথায় আবেগাপ্লুত হন সুধীজন।
জহিরুল আলম সিদ্দিকী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের মৌলিক অর্জন। এটাকে অস্বীকার করার উপায় নেই। আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা লেখাপড়া করে তাদের পিছনে রাষ্ট্রের প্রচুর ব্যয় হয়। আমার খুব অবাক লাগে আমি প্রতিদিন বাংলাদেশ থেকে ১০টির মতো আবেদন পাই যারা পিএইচডি করতে চায়। তারা এই দেশকে বসবাসের অযোগ্য মনে করে। তারা উন্নত জীবন যাপনের জন্য স্কলারশিফ নিয়ে বিদেশ যাক ভালো কথা। কিন্তু দেশের উন্নয়নে তাদের তেমন কিছু করতে দেখা যায়না। দেশের রেমিটেন্স বৃদ্ধিতে তাদের কোন ভূমিকা নেই। বরং দেশ থেকে সম্পত্তি বিক্রি করে বিদেশে নিয়ে যান তারা। এই মানসিকতা থেকে বিদেশে বসবাসরত বিশিষ্ট বাংলাদেশিদের সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য ভাবতে হবে। একা রাজনীতিবিদদের দোষারোপ করে লাভ নেই। রাজনীতিবিদরা একা সবকিছু পরিবর্তন করতে পারবেন না। সবাইকে মিলেই দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে। তিনি মেধাবী তরুণদের ধরে রাখতে সরকারকে গবেষণাখাতে বিনিয়োগ ও ইউনিভার্সিতে গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নারী নেত্রী শীলা রায়, মুক্তিযোদ্ধা বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু, মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আলী আমজাদ, জগৎজ্যোতি পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সালেহ আহমদ, সাংবাদিক পঙ্কজ দে, শামস শামীম, প্রভাষক মশিউর রহমান প্রমুখ।