Fনলাইন::
এ এক জীবন-মরণ লড়াই। একজন বুনো ওল, আরেকজন বাঘা তেঁতুল। কেউ কাউকে ছাড়ার পাত্র নয়। আর এ মৃত্যুগন্ধী লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জয়ী হয় জায়ান্ট সরীসৃপ অ্যালিগেটর।
সম্প্রতি এমনই এক লড়াইয়ের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে সেটাকে ভাইরাল হতে দিলেন রিচার্ড ন্যাডলার, যিনি পেশায় একজন দাঁতের ডাক্তার। সময় কাটাতে গলফ খেলেন, এটা তাঁর সখ।
গত ১২ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার নেপলসের ফিডলারস ক্রিক গলফ কোর্সের একটি জলার ধারে এমনই ভয়ংকর এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন তিনি ও তাঁর বন্ধুরা। তাঁরা সেখানে গিয়েছিলেন গলফ খেলতে। ‘টেনথ হোল’-এর কাছে যেতেই রিচার্ড লক্ষ করেন, একটি বিশাল বার্মিজ পাইথন আর একটি বিশালাকার অ্যালিগেটর পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে মরণ-লড়াই লড়ছে। কেউ দমবার পাত্র নয়, কেউ কাউকে ছাড়বার পাত্র নয়।
তিনি দেখেন, অ্যালিগেটরটি বার্মিজ পাইথনের বিশাল মাথার পুরোটাই মুখে পুরে চুপচাপ শুয়ে আছে।
রিচার্ড ন্যাডলার এনবিসি ২কে বলেন, প্রাণী দুটি চুপচাপ শুয়ে ছিল। মনে হচ্ছিল তারা কেউই বেঁচে নেই। তবে মাঝে মাঝে তাদের নড়াচড়া টের পাওয়া যাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল এরা আমাদের (গলফার) জন্য ক্ষতিকারক নয়, তাই আমরা তাদের আশপাশেই খেলা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। ওখানে অনেকেই আসছিল এবং তাঁরাও ছবি তুলছিল। আমরা দেখছিলাম, অ্যালিগেটরটির চোখ দুটি খোলা ছিল, তবে তাতে কোনো প্রাণ আছে বলে মনে হচ্ছিল না। মনে হয় ওটি চলার শক্তি হারিয়ে ফেলেছিল। কেননা, আশপাশে মানুষের এত আনাগোনা সত্ত্বেও সে কোনো নড়াচড়া করছিল না।
তিনি আরো বলেন, আপাতদৃষ্টিতে আমাদের কেউই তাদের লড়াইয়ের মাঝে কোনো হস্তক্ষেপ করিনি। তারা তাদের মতো লড়েছে। আমরা খেলা শেষে ফিরে এসেছি। তবে, পরদিন সকালে গিয়ে তাদের আর খুঁজে পাইনি। তবে, আমরা বুঝতে পেরেছি- লড়াইয়ে অ্যালিগেটর জয়ী হয়েছে।
সূত্র : ডেইলি মেইল