বিশেষ প্রতিনিধি::
প্রধানমন্ত্রীর সিলেট সফরকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত ও তাদের উজ্জীবিত করতে আওয়ামী লীগের কোন কার্যক্রম নেই। তবে এ ক্ষেত্রে আওয়ামী যুবলীগকে তৎপর দেখা যাচ্ছে। যুবলীগ ইতোমধ্যে সুনামগঞ্জ ও সিলেটে একাধিক কর্মসূচি পালন করেছে। উপজেলা ও জেলা যুবলীগ সফরকে কেন্দ্র করে প্রচারণাও চালাচ্ছে। এছাড়াও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরাও বিচ্ছিন্নভাবে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে তৃণমূলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
আগামী ৩০ জানুয়ারি সিলেটে আসছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর সফরকে কেন্দ্র করে বিভাগের অন্যান্য স্থানে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলো প্রচারণা চালাচ্ছে। দলীয় সভানেত্রীর সম্মেলন সফল করতে তারা তৃণমূলে প্রচারণা চালাচ্ছে।
এদিকে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ এ নিয়ে এখনো সুনামগঞ্জে কোন আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি পালন করেনি। নেতাকর্মীরা কিভাবে সম্মেলনে যাবেন, কিভাবে কি করবেন সেই দিক নির্দেশনা সংক্রান্ত কোন নির্দেশনা দেয়নি জেলা আওয়ামী লীগ। ফলে হতাশ আছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। জানা গেছে গত সপ্তাহে জেলা যুবলীগ প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়ন যুবলীগকে সিলেটে প্রধানমন্ত্রীর সফরের প্রস্তুতি সভায় যাওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল। কয়েকটি গাড়ি করে ওই সভায় যোগদানও করেন নেতৃবৃন্দ। সংগঠনের জেলা আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপল প্রতিটি উপজেলার নেতৃবৃন্দকে প্রধানমন্ত্রীর সিলেট সফরের দিন সিলেটে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন স্থানে স্বেচ্ছাসেবক লীগও প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে প্রচারণা চালাচ্ছে। সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জুবের আহমদ অপু যে কয়টি উপজেলায় দলটির কমিটি রয়েছে তাদের সবাইকে প্রধানমন্ত্রীর সিলেটে সম্মেলনে অংশগ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি দলীয় মার্কা নৌকা প্রতীক সম্বলিত ব্যাজ ধারন করে নেতাকর্মীদের সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগও দলীয় নেতাকর্মীদের ওইদিন ‘সবুজ গেঞ্জি ও সবুজ ক্যাপ’ পড়ে সম্মেলনে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছে।
আওয়ামী লীগের পাশা পাশি জেলা ছাত্র লীগের নতুন কমিটিও প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে নিরব রয়েছে। তারা এখন পর্যন্ত সম্মেলনে যোগদান বিষয়ে কোন সভা করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ ও ছাত্র লীগ নেতাকর্মীরা কিভাবে সম্মেলনে যাবেন, তাদের ব্রান্ড কি হবে তা নিয়ে এখনো কোন আলোচনা হয়নি। এদিকে আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও পৌর মেয়র আয়ূব বখত জগলুল গত বৃহষ্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সিলেট সফরকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জ শহরে হাজারো সমর্থক নিয়ে শোডাউন দিয়েছেন। তিনি শোডাউন শেষে আওয়ামী লীগ সভাপতি মতিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সফর নিয়ে তারা প্রচারণা চালাতে ব্যর্থ হয়েছে। এ কারণে তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হতাশ।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জুবের আহমদ অপু বলেন, আমাদের জেলার সিনিয়র নেতৃবৃন্দ জননেত্রী শেখ হাসিনার সিলেট সফর সফল করতে আমার সিলেটে একাধিক বৈঠকে মিলিত হয়েছি। এছাড়াও আমি জেলা স্বেচ্ছাবেক লীগের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এবং যতগুলু শাখা কমিটি আছে সবাইকে সম্মেলনের দিন ব্যাজ ধারণ করে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। এ নিয়ে আমাদের প্রচারণাও চলছে।
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপল বলেন, আমাদের দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিলেট সফর নিয়ে আমরা সিলেট ও সুনামগঞ্জে একাধিক সভা করেছি। প্রতিটি উপজেলাসহ যতগুলু সাংগঠনিক ইউনিট রয়েছে সবাইকে ওইদিন সম্মেলনে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। সংগঠিত হয়ে ওইদিন আমরা ‘সবুজ গেঞ্জি ও সবুজ ক্যাপ’ পড়ে সম্মেলনে যোগদান করব।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন ধরেননি।