বিশেষ প্রতিনিধি::
সত্তরের দশকে পাকিস্তান অবজারভার পত্রিকার তুখোড় সাংবাদিক মি. হারুন মেঘ-পাহাড় আর হাওর-বাওরের সৌন্দর্য্যঘেরা সুনামগঞ্জ পৌর শহর দেখে মন্তব্য করেছিলেন ‘ভিলেজ টাউন’। গ্রামীণ এই শহরটিকে ছিলনা উন্নত নাগরিকসেবা। রাস্তাঘাট, স্থাপনাসহ সেবাপ্রাপ্তির তেমন সুযোগ ছিলনা। ২০১১ সালে আয়ূব বখত জগলুল মেয়র নির্বাচিত হবার পরই শহরটি আধুনিক পৌরসভার যাত্রা শুরু করে বলে জানান নাগরিকরা। তার ৬ বছরের মেয়াদকালে পৌরসভায় প্রায় শতকোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন। নাগরিকদের মধ্যে কর আদায়ের অভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে কর আদায় করে তিনি সারা দেশে প্রশংসিত হয়েছিলেন। এছাড়াও শহরের দৃশ্যমান নানা উন্নয়ন করে নিজের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার কাজ করে গেছেন তিনি। নাগরিকরা মনে করছেন এসব উন্নয়নই তাঁর স্মৃতির স্মারক হয়ে থাকবে।
সনামগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিস জানিয়েছে গত ৬ বছরে তিনি সুনামগঞ্জ পৌর শহরে প্রায় শতকোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন।
সূত্র জানায় আয়ূব বখত জগলুলের উল্লেখযোগ্য কাজ গুলোর মধ্যে হলো নিরাপদ পানির জন্য দুটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণ প্রকল্প, আধুনিক কিচেন মার্কেট, রাস্তা প্রশস্থকরণ, ড্রেনেজ নির্মাণ, হোসেন বখত চত্বরে দ্বিতল মার্কেট নির্মাণ, কালীবাড়ি এলাকায় দুটি পৌর মিনি মার্কেট নির্মাণ, কাজীর পয়েন্টে পৌর মিনি মার্কেট নির্মাণ, বাজার এলাকায় মিনি মার্কেট নির্মাণ, শহরের রাস্তাঘাট প্রশস্থকরণ, কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণসহ নানা উন্নয়নমূলক কাজ করে গেছেন। বিশেষ করে শহরে বেড়ে ওঠা শিশুদের সাঁতারের কথা বিবেচনা করে একটি সুইমিং পুলের জন্য তিনি মন্ত্রণালয়ের সকল শর্তপূরণ করে পৌরসভার নিজ তহবিল থেকে ২ কোটি টাকার এফডিআর করে রেখেছেন। গত নির্বাচনের আগে সুইমিংপুলের উদ্বোধন করেছিলেন তিনি। এই প্রকল্পটি এখন মন্ত্রণালয়ের নির্মাণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে বলে জানা গেছে। এভাবে গত ৬ বছরে তিনি পৌর নাগরিকদের সেবার মানোন্নয়নে প্রায় শত কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন।
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মীর মোশারফ হোসেন বলেন, গত ৬ বছরে পৌর মেয়র আয়ূব বখত জগলুল প্রায় শত কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন। তিনি পৌরসভার নিজস্ব তহবিলও সমৃদ্ধ করে গেছেন। নাগরিকদের মধ্যে ট্যাক্স আদায়ের মনোভাব সৃষ্টি করেছেন। টেক্স আদায় করে তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রশংসিত হয়েছিলেন। কাজ পাগল এই মানুষটি কাজ করতে ভালোবাসতেন। পৌরসভাবে আধুনিক পৌরসভায় রূপান্তরিত করতে নানা পরিকল্পনা নিয়েছিলেন তিনি।