স্টাফ রিপোর্টার::
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ৫ বছরের কারাদন্ডের প্রতিবাদে সুনামগঞ্জ বিএনপিকে রাজপথে দাড়াদে দেয়নি পুলিশ। রায় পরবর্তী বিক্ষোভের চেষ্টা করলে পুলিশ তাতে বাঁধা দেয়। পরে বিক্ষুব্দ কিছু কর্মী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ে সামনের ফাঁকা সড়কে ট্রায়ার জ্বালিয়ে দ্রুত সটকে পড়ে।
রায়কে ঘিরে সকাল থেকেই থমথমে ছিল সুনামগঞ্জ শহর। রাস্তাঘাটে যান চলাচল কম ছিল। বন্ধ ছিল দোকানপাট। পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী শহরের প্রতিটি পয়েন্টে মোতায়েন ছিল। রায়ের পরেই বিএনপি সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নূরুল নেতাকর্মীদের নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ বাধা দেয়। তখন পুলিশের সঙ্গে হাল্কা বিত-া দেখা দেয়। এক পর্যায়ে নেতাকর্মীদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি আসলে রাজপথে অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দেন জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন। তবে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এদিকে সকাল থেকেই জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ রাজপথে অবস্থান নেয়। শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে তারা সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অবস্থান করে। দুপুরে জেলা যুবলীগ বিক্ষোভ মিছিল বের করে। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এলাকায় না থাকায় দুপুরের শেষ দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কমিটির বেশ কিছু নেতাকর্মী দলীয় কার্যালয় ও আলফাত স্কয়ারে অবস্থান নেন।
এছাড়াও প্রতিটি উপজেলা শহরেও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।