জগন্নাথপুর প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে এক মাদকসেবী স্বামী ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে স্ত্রীকে গুরুত্বর আহত করেছে। তাকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ স্বামীকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, পৌরএলাকার কেশবপুর গ্রামের ফজর মিয়ার ছেলে দিলাল মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের দরিদ্র ছবরু মিয়ার মেয়ে রোজিনা বেগমের বিয়ে হয় প্রায় ১৪ বছর পূর্বে। তাদের সংসারে দুই শিশু মেয়ে রয়েছে। বিয়ের কয়েক মাস পরে রোজিনা জানতে পারে তার স্বামী একজন হেরোইনসেবী। এ নিয়ে প্রায়ই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। দিন দিন নেশাগ্রস্থ স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে অবশেষে স্বামীর বাড়ি ত্যাগ করে রোজিনা তার দুই মেয়ে নিয়ে কেশবপুর বাজার এলাকায় একটি কলোনিতে বসবাস করে আসছিল।
প্রায় তিনমাস পূর্বে রোজিনা তার স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছিল। সোমবার সকালে রোজিনা বেগম বাসা থেকে বের হয়ে কেশবপুর গ্রামের দিকে রওয়ানা হলে কেশবপুর-পাটলী সড়কে মিন্টু মিয়ার বাড়ির নিকটস্থ স্থানে পথরোধ করে তার স্বামী অর্তকিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকেè নিয়ে আসেন।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোজিনা বেগম এ প্রতিবেদককে বলেন, বাড়ি থেকে বের হয়ে বাপের বাড়ি যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে পথরোধ করে আমার স্বামী অশ্লীল ভাষায় গালিগালাছ করতে করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, নেশার টাকার জন্য তার স্বামী তাকে আমাকে মারধর ও নির্যাতন করতো। স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে শেষ পর্যন্ত দুই মেয়ে নিয়ে আলাদাভাবে বসবাস করছেন।
রোজিনার বাবা ছবরু মিয়া বলেন, নেশাখুর স্বামীর হাত থেকে মেয়েকে বাঁচাতে আমি অনেক আগেই আমার মেয়েকে ডির্ভোস নিতে বলেছি। কিন্তু এতে আমার মেয়ে রাজি হয়নি। তিনি বলেন, তার মেয়ের ১১ বছরের একটি মেয়ে ও ৭ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাজিবুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আহত রোজিনাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসেছি।
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: সামছুউদ্দিন বলেন, মহিলার শরীর বিভিন্নস্থানে ৪/৫টি ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। আমরা তাকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রের্ফাড করেছি। জগন্নাথপুর থানার ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাদকাসক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে।