অনলাইন ডেক্স::
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৫ বছরের সশ্রম কারাদ- হয়েছে৷ তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে৷ খালেদার বড়ছেলে তারেক জিয়াসহ অন্য পাঁচ আসামিদের দেয়া হয়েছে ১০ বছরের কারাদ-। এই অবস্থায় ২০ দলের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ২০দলের সিনিয়র নেতারা তারেকের নেতৃত্ব মানতে নারাজ বলে জানা গেছে নানা সূত্রে।
এ মুহূর্তে দলের দায়ভার কে নেবে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও ১০ বছরের ফেরারি আসামি তারেক রহমানকে তড়িঘড়ি করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন করা হয়। যা নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা। কারণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন হবার কারণে পদাধিকার বলে তিনি ২০ দলেরও সভাপতি হয়েছেন। তবে ২০ দলের সভাপতি হিসেবে তাকে দলের অন্য শরীকগণ মানতে চাইছেন না।
অন্য শরীকদের একজন বলেন, গণতন্ত্রের দেশ বাংলাদেশে পরিবারতন্ত্র মেনে নেয়া হবে না। তারেকের রাজনীতির হাতে খড়ি হয়েছে মাত্র কয়েক বছর আগে, যেখানে আমারা রাজনীতি করে আসছি তার জন্মের আগ থেকে। শুধু মাত্র ‘মা’ দলের প্রধান দেখে তার অবর্তমানে সন্তান দলের প্রধান হবে এ কেমন কথা?
অপর দিকে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীকদল পিপলস লীগের এক নেতা বলেন, তারেক রহমান নিজ দলের সিনিয়র নেতাদের উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করেন না। তিনি কিভাবে দলের প্রধান হন? যেখানে তিনি দুর্নীতি মামলার ফেরারি আসামি। আমরা তার নেতৃত্ব মানতে বাধ্য নই।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির এক সিনিয়র নেতা বলেন, মহাসচিব মির্জা ফখর“ল ইসলাম আলমগীর সব মহলের কাছে ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ। তিনি বেগম খালেদা জিয়ারও বিশ্বস্ত। তবে লন্ডনে অব¯’ানরত তারেক রহমানের তিনি বিশ্বাসযোগ্য নন। কারণ মির্জা ফখরুল গঠনমূলক রাজনীতিবিদ, মারদাঙ্গা রাজনীতিবিদ নন। তারেক জিয়া ঘরানার নেতারা তাকে খুব একটা পছন্দ করেন না। অপর দিকে মওদুদ আহমদ বড় রকমের অবিশ্বাসী খালেদা জিয়ার কাছে, বিশেষ করে তার বাড়ির মামলার পর থেকে। এমতাব¯’ায় বলাই যায়, আমাদের ২০ দলীয় জোট ভেঙে গিয়েছে।
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির এক সিনিয়র নেতা বলেন, তারেক জিয়া লন্ডনে থাকলেও তিনি তার মতো করেই বিএনপি পরিচালনা করতে চান। মুখে না বললেও সিনিয়র অনেক নেতা বিশেষ করে মির্জা ফখর“লরা লন্ডনের অনেক সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হতে পারেন না, অধিকাংশ সময়। ফলে নেতৃত্বে নিষ্ক্রীয় একটা অব¯’া পরিলক্ষিত হয়।
উল্লেখ্য, মুখে মুখে ২০ দলীয় বিএনপি জোট বলা হলেও ২০১৬ সালেই বিএনপি জোট থেকে বেরিয়ে গিয়ে ইসলামী ঐক্যজোট। গুঞ্জন উঠেছে জোটের অন্যান্য শরীকদের মধ্যে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, পিপলস লীগ, লিবারেল ডেমেক্রেটিক পার্টি সহ আরো অনেক দল ২০ দলীয় জোট থেকে সরে যাচ্ছে।
সূত্র: বাংলানিউজপোস্টডটকম।