1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

সুনামগঞ্জে আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিচার প্রক্রিয়ায় স্বজনপ্রীতি

  • আপডেট টাইম :: বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮, ২.৩৯ পিএম
  • ৩১৫ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জে আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা-২০১৮ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে বরাবরের মতো এবারও প্রতিযোগীতায় বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। কিছু শিক্ষককে বিচারে যুক্ত করায় তাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ তাদের ব্যক্তিগত সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে পাঠদান করে এমন শিক্ষার্থীদের বিজয়ী করার অভিযোগ উঠেছে। বিচারপ্রক্রিয়ায় যুক্ত ওই শিক্ষকরা বিচারক হিসেবে যারা থাকেন তাদেরও প্রভাবিত করেন এমন অভিযোগ আছে।
প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে বিজয়ী হয়ে আসা প্রতিযোগীরা জেলা পর্যায়ে এসে স্বজনপ্রীতির কারণে বাদ পড়েন বলে অভিযোগ অংশগ্রহণকারীদের।
বুধবার সকালে সুনামগঞ্জ জেলা শহরের রাজগোবিন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জেলা পর্যায়ের এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পঞ্চানন বালা। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কামরুজজামান।
সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. সোলেমান মিয়া ও সহকারি শিক্ষা অফিসার এনামুল হক মোল্লার যৌথ পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সহকারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ সাজ্জাদ, বকুল চন্দ্র দেবনাথ, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র বর্মণ, জেলা তথ্য অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী পাভেল।
প্রতিটি স্কুল, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে বিজয়ীদের নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতিযোগিতায় সুনামগঞ্জ শহরে সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছেন এমন কয়েকজন শিক্ষকের মধ্যে তুলিকা ঘোষ চৌধুরী, সন্তোষ কুমার চন্দ মন্তোষসহ কয়েকজন শিক্ষক বিচারক হিসেবে ছিলেন। তাদের সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে জড়িত রয়েছেন এমন শিক্ষার্থীরাও জেলা পর্যায়ের এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার অহনা আনোয়ার তমা নামের এক শিক্ষার্থী নৃত্য প্রতিযোগিতায় উপজেলা পর্যায়ে প্রথম হয়ে জেলা পর্যায়ে অংশ নিয়েছিল। গতবার সে নৃত্যে দ্বিতীয় হয়েছিল। এবার হয়েছে একই বিষয়ে তৃতীয়। উপস্থিত দর্শকরা জানিয়েছেন নৃত্যে সবচেয়ে ভালো পারফর্ম করেছে সে। কিন্তু বিচার প্রক্রিয়ায় স্বজনপ্রীতির কারণে সে এবার তৃতীয় হয়েছে। এভাবে প্রত্যন্ত এলাকার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়ে।
অহনার বাবা আনোয়ার হোসেন সংশ্লিষ্টদের সামনেই বিচার প্রক্রিয়ায় স্বজনপ্রীতির অভিযোগ করেন।
সহকারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. সাজ্জাদ বলেন, কয়েকজন শিক্ষককে বিচার প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন। এই বিষয়টি জানার পর আমরা তাদেরকে বাদ দিয়েছি।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!