অনলাইন:
বাংলাদেশ একদিকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর সময়েই অন্যদিকে আরও ২৮৩ রোহিঙা আসতে শুরু করেছে।শুক্রবার দুপুরে ঢাকায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক হয়েছিল। বাংলাদেশের স্বনাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট জেনারেল কিয়াও সোয়ের নেতৃত্বে সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠকে ১ হাজার ৬৭৩ পরিবারের ৮ হাজার ৩২ জন মিয়ানমার নাগরিকের (রোহিঙ্গা) তালিকা মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। এখনও থামেনি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ। শনিবার নতুন করে আরও ৭২টি পরিবারের ২৮৩ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ বাংলাদেশে পালিয়ে আসলো।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক বলেন, অনেক জল্পনা-কল্পনা পর রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন তরান্বিত করতে গতকাল সচিবালয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ৮ হাজার ৩২ জন মিয়ানমার নাগরিকের (রোহিঙ্গা) তালিকা মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা। তার পরও টেকনাফ উপজেলার কোনো না কোনো সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গারা ঢুকছে বাংলাদেশে। আজ রবিবার নতুন করে এসেছে ৭২ পরিবারের মোট ২৮৩ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ। নাফ নদীতে বিজিবির সতর্ক অবস্থায় থাকায় রোহিঙ্গারা এখন নতুন পথে সাগর পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে।
তিনি আরও বলেন, চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩৮৬টি পরিবারের মোট ১ হাজার ৭২৭ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ এসেছেন টেকনাফে। তাদের সবাইকে টেকনাফ ও উখিয়ার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে পাঠানো হয়েছে।
সেনাবাহিনীর টেকনাফের সাবরাং হারিয়াখালী ত্রাণকেন্দ্রে দায়িত্বরত জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি ও টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, রবিবার সকাল সন্ধা ৫টা পর্যন্ত নতুন করে এসেছে ৭২টি পরিবারের ২৮৩ জন রোহিঙ্গা। এই রোহিঙ্গাদের প্রথমে সেনাবাহিনীর হারিয়াখালী ত্রাণকেন্দ্রে নেওয়া হয়। এরপর মানবিক সহায়তা ও প্রতিটি পরিবারকে চাল, ডাল, সুজি, চিনি, তেল, লবণের একটি করে বস্তা দিয়ে গাড়ি যোগে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে পাঠানো হয়েছে। কোনো ভাবে রোহিঙ্গা আসা বন্ধ করা যাচ্ছে না।
বহিরাগমন বিভাগ ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু নোমান মোহাম্মদ জাকির হোসেন , উখিয়া ও টেকনাফে ১২টি আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের ৬টি ক্যাম্পের মাধ্যমে রোহিঙ্গা নিবন্ধনের কাজ করেছে বহিরাগমন বিভাগ ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের তত্তাবধানে বাংলাদেশ সেনা বাহিনী, বিজিবি, আনসার ও ইউএনএইচসিআরের কর্মীরা। ১৪ ফ্রেবুয়ারি পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত করে মোট ১০ লাখ ৬৮ হাজার ২৩৬ জন রোহিঙ্গাকে নিবন্ধনের আওতায় আনা সম্ভব হয়।