স্টাফ রিপোর্টার::
শনির হাওরের গুরুত্বপূর্ণ ৮০০ মিটার এলাকায় ফসলরক্ষা বাধের কোন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়নি। গুরমার হাওরের প্রায় এক কি.মি এলাকা এখনো অরক্ষিত। লেদারবন্দ হাওরের আফরমারা বাধেও কোন বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। চন্দ্রসোনারথাল হাওরের প্রায় আধা কি.মি. এলাকায় এবছর কোন প্রকল্প নেই। এভাবে গুরুত্বপূর্ণ অনেক হাওরের ফসলরক্ষা বাধের কাজে কোন প্রকল্প না নিয়ে অনেক অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রোববার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কাবিটা বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির সভায় এই অভিযোগ করেন তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও কমিটির উপদেষ্টা কামরুজ্জামান কামরুল। এছাড়াও দোয়ারাবাজার উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী বীরপ্রতীকও অনেক অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে বরাদ্দ অপচয় হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।
তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল সভায় জানান, শনির হাওরের জামালগঞ্জ এলাকার রাধানগর অংশের প্রায় ৮শ মিটার এলাকা অরক্ষিত রাখা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই স্থানে কোন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়নি। গুরমার হাওরের শরিফপুর অংশে আফরমারা বাধের এক কি.মি এলাকায় কোন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন না হওয়ায় পুরো হাওর অরক্ষিত আছে। লেদারবন্দ হাওরের প্রায় ৪০০ একর জমি রক্ষার জন্য কোন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়নি। এছাড়াও চন্দ্র সোনারতাল হাওরের মিলনপুর-শরিফপুর অংশের প্রায় আধা কি.মি. এলাকায় কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছেনা। তিনি অভিযোগ করেন স্থানীয় কৃষকদের দাবি উপেক্ষা করা হয়েছে। কৃষকরা উক্ত স্থানগুলোতে প্রকল্প গ্রহণের দাবি জানালেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন প্রকল্প গ্রহণ করেনি। যার ফলে গুরুত্বপূর্ণ এসব স্থানে বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হাওরের মাঠে ময়দানে কাজ করার সুবাদে কোথায় প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে মোটামুটি আমার জানা আছে। আমি গত এক সপ্তাহ ঘুরে দেখেছি গুরুত্বপূর্ণ এই স্থান গুলোতে কোন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন হচ্ছেনা। অথচ আশপাশে অপ্রয়োজনীয় অনেক প্রকল্প গ্রহণ করে মোটা বরাদ্দ অপচয় হচ্ছে। তিনি বলেন, জরুরি ভিত্তিতে এসব এলাকায় বাধ নির্মাণের জন্য আমি কমিটিকে অনুরোধ জানিয়েছি। তারা আমার প্রস্তাবে সম্মতি দিয়ে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক ভূইয়া বলেন, আজকের জেলা কমিটির সভায় অনেকেই নানা বিষয়ে কথা বলেছেন। তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় যে বিষয়গুলো উত্তাপন করেছেন আমরা বিষয়গুলো টুকে রেখেছি। এই বিষয়ে এলাকা ঘুরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।