স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে সংশ্লিষ্টদের স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ অন্যান্য কোটা পূরণ না করায় মানববন্ধন করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। সোমবার সকালে জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে অনুষ্টিত মানববন্ধনে অবিলম্বে নিয়োগ বাতিলের দাবি জানান মুুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে দলমত নির্বিশেষে আপামর মানুষজনও অংশ নেন।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ইউসুফ আল আজাদ, সাবেক উপজেলা কমান্ডার এডভোকেট আসাদ উল্লাহ সরকার, মুক্তিযোদ্ধা শ্রীকান্ত তালুকদার, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা আলতাফুর রহমান প্রমুখ। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, জামালগঞ্জ উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজা আক্তার দিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাচনা বাজার ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শামীম, জামালগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মাদ আলী, সাধারন সম্পাদক এম নবী হোসেন, ভীমখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. দুলাল মিয়া, জামালগঞ্জ উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান মো. রজব আলী প্রমুখ।
মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, সকল জেলার আদালতে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারী নিতিমালা মানা হলেও সুনামগঞ্জে সেটা মানা হচ্ছেনা। স্থানীয়দের বঞ্চিত করে নিয়োগকারীরা তাদের এলাকার আতœীয়-স্বজনদের চাকুরি দিচ্ছেন। এমনকি তারা মুক্তিযোদ্ধা কোটাও মানছেন না। বক্তারা বলেন, এবছর ভয়াবহ দুর্নীতি হয়েছে। ৩৩ জনের মধ্যে ২৫ জনকেই বাইরের জেলা থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যা স্পষ্ট সরকারের নীতিমালা ভঙ্গ হয়েছে। এই নিয়োগে স্থানীয় প্রার্থীদের বদলে বাইরের প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়ায় হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করা হয়েছে বলে বক্তারা অভিযোগ করেন। নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা, আদিবাসী কোটা, প্রতিবন্ধী কোটা, আনসার ভিডিপি কোটাও মানা হয়নি বলে বক্তারা অভিযোগ করেন।
উল্লেখ্য গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৫ জনই বারের জেলার। সুনামগঞ্জ জেলার হাজার হাজার মেধাবী প্রার্থী থাকলেও তাদের বঞ্চিত করে বাইরের জেলার প্রার্থীদের স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নাগরিকরা ক্ষুব্দ হয়ে উঠেছেন। নিয়োগ বাতিলের দাবিতে সুনামগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডসহ বিভিন্ন সংগঠন মানববন্ধন ও প্রতিাবদ কর্মসূচি পালন করছে।