স্টাফ রিপোর্টার::
অকালপ্রয়াত সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আয়ূব বখত জগলুল আকষ্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান গত ১ ফেব্রুয়ারি। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মারা যান তার মা সুনামগঞ্জের আলোকিত নারী নূরজাহান বখত। এই ঘটনায় মুষড়ে পড়ে সুনামগঞ্জ শহরের বখত পরিবার। তাদের ভক্ত ও স্বজনরাও শোকে কাতর। এই অবস্থায় পৌরসভার উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেয় প্রয়াত মেয়র আয়ূব বখত জগলুলের ছোট ভাই সাবেক ছাত্র নেতা ও স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে একাধিকবার কারাবরণকারী নাদের বখতকে। শোক সন্তপ্ত পরিবার থেকে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী দেওয়ায় খুশি হন তাদের সমর্থরা। তবে পিটাপিটি সময়ে এই পরিবারের প্রার্থী ভাই ও মা হারানোর শোক নিয়েই ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। ভোট চাওয়ার আগেই ভোটাররা প্রার্থীকে উল্টো শান্তনা দিচ্ছেন। প্রতিটি এলাকায় প্রচারণা চালাতে গিয়ে ভোটারদের শান্তনা পাচ্ছেন নাদের বখত। উল্লেখ্য আগামী ২৯ মার্চ সুনামগঞ্জ পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নাদের বখতের সঙ্গে রয়েছেন শহরের আরেক বিখ্যাত হাছন পরিবারের দুই মেয়র প্রার্থী। হাসন রাজার প্রপৌত্র দেওয়ান গণিউল সালাদীন স্বতন্ত্র এবং আরেক প্রপৌত্র দেওয়ান সাজাউর রাজা সুমন বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন। এই দুই ভাই তাদের আরেক প্রয়াত ভাই ২০০৭ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পৌরসভার জননন্দিত চেয়ারম্যাান মমিনুল মউজদীনের ইমেইজকে কাজে লাগিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তারা তার নামে পোস্টারিং ও মাইকিং করে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।
কালিপুর এলাকার ভোটার বদরুল আলম বলেন, জগলু সাহেব খুব সাহসী ও সৎ মানুষ ছিলেন। উনাকে যারা ভাল পায়না তারাও তার সাহস ও সততার প্রশংসা করতেন। হঠাৎ তিনি মারা যাওয়ায় আমাদের নাগরিকদের মন খারাপ। তার ১৫-২০দিন পর তার মা মারা যাওয়ায় মানুষের মনে আরো দাগ কেটেছে। এখন নৌকার প্রার্থী নাদের বখত প্রচারণায় এলে সাধারণ ভোটাররা আগে তাকে শান্তনা দিচ্ছেন।
নাদের বখতের ঘনিষ্ট সহচর সাজিদুর রহমান বলেন, আমাদের প্রার্থী যেখাইেন যাচ্ছেন সেখানে সাধারণ ভোটারদের শান্তনা পাচ্ছেন। ভোটাররা সদ্য ভাই ও মা হারানোয় তাকে শান্তনা দিয়ে দোয়া করছেন। প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকায় ভোটাররা তাকে শান্তনা জানাতে দেখা যাচ্ছে।
মেয়র প্রার্থী নাদের বখত বলেন, আমার বাবা ছিলেন মুুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। দুই ভাইকে মুক্তিযুদ্ধে পাঠিয়েছিলেন বাবা। আমার দুই ভাই ছিলেন পৌরসভার মেয়র ও চেয়ারম্যান। এই শহরের সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমাদের আতœার সম্পর্ক। সম্প্রতি আমার বড় ভাই মেয়র আয়ূব বখত জগলুল এবং আমার মা নূরজাহান বখত মারা যাওয়ায় আমাদের পরিবারের সঙ্গে এই শহরের সাধারণ মানুষও এখন শোকাহত। মানুষ যেভাবে ভালোবাসা দেখাচ্ছেন তাতে আমরা আরো ঋণি হচ্ছি।