রাজন চন্দ, তাহিরপুর
তাহিরপুরে শাহ-আরফিনের ওরস ও সনাতন ধর্মলম্বীদের পনতীর্থ ¯œানকে কেন্দ্র করে উপজেলার ১০টি পয়েন্টে চাঁদাবাজি করছে একদল চাঁদাবাজ।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও এ দু,টি উৎসবকে ঘিরে কয়েক লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটেছে শ্রীশ্রী অদ্বৈত প্রভুর মন্দির, সীমান্ত নদী যাদুকাটায় এবং সীমান্তঘেষা লাউড়েরগড় শাহ আরেফিন (র.) আস্তানায়। আর এসব ভক্তবৃন্দরা বেশিরভাগই মটরসাইকেলে করে এ দু,টি জায়গায় অবস্থান করেছেন।
বর্তমানে শাহ আরফিনের মাজার ও যাদুকাটা নদীর তীরে কয়েক হাজার মটরসাইকেল স্ট্যন্ড রয়েছে।
এদিকে একই সময়ে দুই সম্প্রদায়ের দু,টি ধর্মীয় উৎসবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পূন্যার্থীরা চাঁদাবাজদের যন্ত্রনায় অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) সরেজমিনে আমাদের এ প্রতিবেদক শাহ আরফিনের মাজার ও যাদুকাটার তীর ঘুরে দেখতে পান, মটরসাইকেলযোগে আগত কয়েক লক্ষাধিক ভক্তবৃন্দদের নিকট থেকে বিভিন্ন জায়গায় বিনা কারনে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।
যেসব জায়গায় চাঁদাবাজি চলছে ঃ- বাদাঘাট ইউনিয়নের পাতারগাঁওয়ে সড়কের একটি অংশে প্রতি মটর সাইকেল থেকে ৩০ টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। যাদুকাটা নদীতে প্রতি মটর সাইকেল থেকে ৪০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। মাহারাম নদীর পাড়ে একটি চাদাবাজ চক্র প্রতি মটর সাইকেল থেকে ৩০ টাকা আদায় করছে। লাউড়ের ঘর নদীর পাড় থেকে আরেকটি চক্র প্রতি মটর সাইকেল ৪০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে। বীরেন্দ্রনগর থেকে বড়ছড়া পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে প্রতি মটরসাইকেলে ৫০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। উপজেলার দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়নের সুলেমানপুরে একই নদীর দুই খেয়াঘাটে ৪০ টাকা ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। অর্থাৎ একটি মটর সাইকেল শাহ-আরফিনের মাজারে ও যাদুকাটায় অদ্বৈত বাড়িতে পৌছতে প্রায় ২০০ টাকা চাঁদা দিতে হচ্ছে। এ দু,টি জায়গায় যেতে যেখানে মটর সাইকেলের ভাড়াই রয়েছে মাত্র ১৫০ টাকা।
উৎসব দু,টি আরো দু,দিন ব্যাপী চলবে এবং এই দুই দিনে এ রাস্তাগুলো দিয়ে অন্তত আরো কয়েক হাজার মটর সাইকেল যাতায়াত করবে।
পনতীর্থ ¯œানে আসা নেত্রকোনা থেকে আগত এক পূন্যার্থী পরিমল সরকার জানান, তিনি নেত্রকোনা থেকে যত টাকা মটর সাইকেল ভারা দিয়ে এসেছেন তার চেয়েও বিভিন্ন জায়গায় মিলিয়ে অতিরিক্ত চাঁদা দেওয়া হয়েছে।
শাহ-আরফিন মাজারে আসা ময়না মিয়া নামে এক ফকির জানান, ভাই মটর সাইকেলের ভাড়া যেমন তেমন চান্দা দিতে দিতে আমি শেষ।
এ প্রসঙ্গে তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আসাদুজ্জামান হাওলাদার জানান, এ রকম চাঁদাবাজির বিষয়টি আমার জানা নেই।