বিশেষ প্রতিনিধি:
দুই বছর পর সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ পেয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) রাতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ৭৫ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করেন। তবে কমিটিতে অনেক যোগ্য, ত্যাগীরা বাদ পড়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া একই পরিবারের একাধিকজনকেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজপথ কাপানো তারকা নেতাদের বদলে সুবিধাবাদী হিসেবে পরিচিত অনেককে দেওয়া হয়েছে শীর্ষপদ। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধা পরিবারকেও বঞ্চিত করা হয়েছে বলে ক্ষোভ বরিাজ করছে।
জানা গেছে কমিটিতে ১১ জন সহ-সভাপতি, ৩ জন যুগ্ম সম্পাদক ও ৩ জন সাংগঠনিক সম্পাদক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মতিউর রহমান। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নিবেদিত পরিবারের সদস্যদের পিছনে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ।
কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট, সহ-সভাপতি মুহিবুর রহমান মানিক এমপি, অ্যাডভোকেট আফতাব উদ্দিন, অ্যাড. শামছুন নাহার বেগম শাহানা এমপি, সিদ্দিক আহমদ, সাবেক পিপি শফিকুল আলম, পিপি খায়রুল কবীর রুমেন, অবণী মোহন দাস, রেজাউল করিম শামীম, সৈয়দ আবুল কাসেম।
যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট নান্টু রায়, হায়দার চৌধুরী লিটন, ছাতক পৌর মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী। সাংগঠনিক সম্পাদক শংকর দাস, সিরাজুর রহমান সিরাজ, জুনেদ আহমদ।
আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল করিম, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নিগার সুলতানা কেয়া, দপ্তর সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী উজ্জ্বল, প্রচার সম্পাদক গোলাম সাবেরীন সাবু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শামীম আহমেদ চৌধুরী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক সীতেশ তালুকদার মঞ্জু। ছাতক পৌরসভার মেয়র ও তার ভাইকেও সম্পাদকীয় পদ দেওয়া হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টায় জানান- পূর্ণাঙ্গ কমিটি শনিবার জানানো হবে।
২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জেলা আওয়ামী রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে মতিউর রহমান সভাপতি ও ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। দুই বছর এক মাস পর বৃহস্পতিবার পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা।