স্টাফ রিপোর্টার:
৭ বছরের শিশু ইয়াহিনের ডানের হাতের ৪টি আঙুল কাঁচি দিয়ে কেটেছিল তাহিরপুরের ময়নাখালি বাঁধের ২৮নং পিআইসি অদুদ মিয়া। বর্তমানে শিশুটি সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় শিশুটিকে দেখতে হাসপাতালে যান জেলা পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খান। এ সময় তিনি শিশুটির শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন এবং তার চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় জেলা পুলিশ বহন করবে বলে জানান।
পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খান বলেন, শিশু ইয়াহিনের উপর যে অমানবিক ঘটনা ঘটেছে আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। অপরাধী যতই প্রভাবশালী হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এমন ঘটনায় আমরা মর্মাহত। শিশুটির চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয়ভার সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ বহন করবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ।
প্রসঙ্গত, শনিবার বিকেলে ইয়াহিন গরুর ঘাস কাটার জন্য তাহিরপুর মহালিয়া হাওরপাড়ে ময়নাখালি বাঁধের উপর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পা পিছলে বাঁধের নিচে পড়ে যায়। এ সময় নির্মাণাধীন বাঁধের ড্রেসিং করা কাজের সামান্য ক্ষতি হয়। বিষয়টি দেখতে পেয়ে ইয়াহিনের দিকে এগিয়ে আসেন ২৮নং পিআইসি অদুদ মিয়া। এ সময় তিনি শিশুটির হাতে থাকা কাঁচি কেড়ে নিয়ে হাতের ৪টি আঙুল কেটে দেন।