নিউজ ডেস্ক
এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস বা এই সংক্রান্ত কোনো খবর পেলে অতি সত্তর কল করুন ৯৯৯ নম্বরে। আপনার এক ফোনেই উপযুক্ত উদ্যোগ গ্রহণ করবে সরকার। আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যার মধ্যে ৯৯৯-এ কল করে তথ্য প্রদান অন্যতম।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় রেখে এই সুবিধা চালু করেছে। যার মাধ্যমে কেউ যদি হোয়াটস অ্যাপ, ভাইবার বা ফেসবুকের কোনো গ্রুপে প্রশ্ন ফাঁস করে বা কেউ প্রশ্ন ফাঁসে সঙ্গে জড়িত আছে বলে প্রতিয়মান হয় তবে দেশের নাগরিক হিসেবে আপনি সেই খবর ৯৯৯ নম্বরে কল করে জানিয়ে দিতে পারেন। আপনার এক কলের মাধ্যমে আমরা নিকটস্থ থানায় যোগযোগ করে অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত সাজা প্রদান করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ প্রসঙ্গে পুলিশের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের বিষয় একটা ব্যাধির মতো হয়ে যাচ্ছে। শুধু প্রশ্ন ফাঁসকারীকে নয় বর্তমানে প্রশ্ন ফাঁসকারীর অভিভাবককে আমরা সাজার আওতায় এনেছি। সঙ্গে এই চক্রের সাথে জড়িত সবাইকে সাজা প্রদান করা হবে। শুধু তাই নয়, যিনি এই প্রশ্ন সংগ্রহ করবেন তাকেও শাস্তি প্রদান করা হবে। এর সাজা ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তড়িৎগতিতে দেয়া হবে। পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ সংক্রান্ত) ১৯৮০/৯ (খ) ধারায় গ্রেপ্তার করে ২ বছরের করাদণ্ড দেয়া হবে।
ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস ‘৯৯৯’ এ কল সেন্টারটি বাংলাদেশ পুলিশের অধীনে দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর জরুরি সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১০০ কল-টেকার এজেন্ট, ১৯ জন ডিসপ্যাচার ও ৮ জন সুপারভাইজারের মাধ্যমে দৈনিক তিন শিফটে ২৪ ঘণ্টায় পরিচালিত হয়। জরুরি সেবা কার্যক্রমে একই সময়ে ১২০ জন সাহায্যপ্রার্থী কথা বলতে পারবেন। ৯৯৯ এ কল করতে কোনও টাকা খরচ হবে না। মোবাইল ফোনে টাকা না থাকলেও বিপদগ্রস্ত যেকোন নাগরিক দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে ৯৯৯- এর মাধ্যমে পুলিশসহ অন্যান্য জরুরি সেবা সংস্থাগুলোর সাহায্য নিতে পারবেন। প্রশ্ন ফাঁসের তথ্য প্রদান ছাড়াও কোনও অপরাধ সংঘটিত হতে দেখলে, প্রাণনাশের আশঙ্কা দেখা দিলে, কোনও হতাহতের ঘটনা চোখে পড়লে, হতাহতের আশঙ্কা তৈরি হলে, আশেপাশে দুর্ঘটনা ও আগুনের ঘটনা ঘটলে ৯৯৯ এ বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ কল করতে পারবেন।