অনলাইন:
কাল ২ প্রিল শুরু হতে যাচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। আর এই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে এক শ্রেণির প্রতারক চক্র বরাবরের মতোই তাদের মনগড়া প্রশ্নপত্রের পসরা সাজিয়ে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের ধোকা দিয়ে কিছু কাঁচা পয়সা হাতিয়ে নিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অর্থলোভী এই কুচক্রী মহলের ধোঁকাবাজি বুঝতে না পেরে নষ্ট হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন।
তবে এবার প্রতিটি বিষয়ে প্রশ্নপত্রের কয়েকটি সেট ও সঠিক প্রশ্নপত্র পরীক্ষার কয়েক মিনিট আগে ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে নির্দেশনা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের কারণে কারো পক্ষেই সঠিক প্রশ্নপত্র জানার সুযোগ না থাকলেও বসে নেই প্রতারক চক্র। তারা বিভিন্ন পরিচয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশ্নপত্র প্রাপ্তির শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে শুরু করেছে।
অন্যদিকে হাত গুটিয়ে বসে নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও। তারাও পেতেছে ফাঁদ। এই ফাঁদে যেমন ধরা পড়বে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের প্রতারকরা, তেমনি ধরা পড়বে শিক্ষার্থীরাও। যারা প্রশ্নপত্রের খোঁজ করবে বিভিন্ন মাধ্যমে। এই কাজে এবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় আছেন বলে জানা যায়। সোশ্যাল মিডিয়াসহ সম্ভাব্য সকল স্তরে তারা নজরদারী শুরু করেছেন এবং প্রতারক চক্রের বেশ কিছু সদস্য এবং কয়েকজন শিক্ষার্থীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে একটি বিশেষ সূত্র। তবে অভিযান পরিচালনার স্বার্থে এখন তা প্রকাশ করা হচ্ছে না।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, প্রতারক চক্রকে ধরতে এক্ষেত্রে এবারই প্রথম বেশ কিছু প্রকৃত পরীক্ষার্থীর সহযোগিতা নেয়া হচ্ছে। কেননা প্রতারক চক্র তাদের নিরাপত্তার খাতিরে স্বয়ং পরীক্ষার্থী ছাড়া কারো সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে না এবং তারা নিজেরা নিরাপদ অবস্থানে থাকতে আরো নানান কৌশল অবলম্বন করে।
এছাড়া যেসব শিক্ষার্থী প্রশ্নপত্রের খোঁজ করবে তাদের প্রতি এবার বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সর্বোচ্চ নজরদারীর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদেরও শাস্তির ব্যবস্থা থাকছে। শিক্ষার্থীদের ধরতে সোশ্যাল মিডিয়াসহ সকল স্তরে এমনভাবে ফাঁদ পাতা হয়েছে যাতে যে কেউ প্রশ্নপত্রের খোঁজ করলে সহজেই তা নজরে চলে আসবে। এক্ষেত্রে উচ্চ-প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানা যায়। সূত্রমতে, পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিন হতে শেষ দিন পর্যন্ত মোবাইল ফোনেও থাকছে নজরদারী।
বিগত বছরগুলোতে প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে তুমুল হৈচৈ শুরু হলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রতিরোধকল্পে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় যদিও উচ্চ-পর্যায়ের তদন্তে প্রতিবারই মনগড়া প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে কুচক্রী মহলের অর্থ কামানোর কৌশলের তথ্য বেরিয়ে আসে। তদুপরি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ক্ষতির কথা বিবেচনা করে এবার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তা প্রতিরোধকল্পে সম্ভাব্য সকল স্তরে কঠোর নজরদারী ও কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। তাই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এ ব্যাপারে অবশ্যই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।