অনলাইন ডেক্স::
মিসরীয় ক্রীড়াবিদ দোয়া এলঘোবাসে ও তার সঙ্গী নাদা মেওয়াদ। অলিম্পিকের মতো খেলার মহা আসরে মিশরীয় এই দুই নারী হিজাব পড়ে অংশই নেননি খেলেছেনও। তবে তাদের প্রতিপক্ষ দল জার্মান বিকিনী ও শর্ট ড্রেস পড়েই তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্ধিতা করে জিতেছে।
দোয়া এলঘোবাসে বলেছেন, হিজাব তাকে ক্রীড়াঙ্গন থেকে সরিয়ে রাখেনি। প্রথমবারের মতো মিসরীয় দল হিসেবে অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন দোয়া ও তার সঙ্গী নাদা মেওয়াদ। হিজাব পরে বিচ ভলিবলে অংশ নেওয়ার ঘটনাও এটাই অলিম্পিক ইতিহাসে প্রথম।
রবিবার কোপাকাবানা বিচে জার্মান দলের সঙ্গে ২১-১২ ও ২১-১৫ ব্যবধানে হেরে যায় মিসরীয় দল। টুর্নামেন্ট শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দোয়া বলেন, ‘আমি গত দশ বছর ধরে হিজাব পরছি, এতে আমার পছন্দের কোন কাজ করতে কোন রকম অসুবিধা হয়নি। বিচ ভলিবল আমার অত্যন্ত প্রিয় খেলা। পৃথিবীর এতগুলো দেশের মধ্যে মিসরের পতাকা তুলে ধরতে পেরে আমি গর্বিত।’
এদিকে, একদিকে মিসরীয় দলের ফুল হাতা জামাকাপড় ও হিজাব অন্যদিকে জার্মান দলের বিকিনি পরে অংশ নেওয়া টুর্নামেন্ট সামাজিক মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অনেকেই একে সাংস্কৃতিক বৈপরীত্য, সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব ও সাংস্কৃতিক বিভাজন হিসেবে উল্লেখ করে টুর্নামেন্টের ছবি পোস্ট করছেন।
সামাজিক মাধ্যমে হিজাব বনাম বিকিনি বিতর্ক
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক ভলিবল ফেডারেশনের নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী বিচ ভলিবলে নারী ক্রীড়াবিদদের বিকিনি ও পুরুষ ক্রীড়াবিদদের শর্টস পরে অংশ নেওয়া বাধ্যতামূলক ছিলো। অস্ট্রেলিয়ান স্পোর্টস কমিশন ২০১২ সালের অলিম্পিকের আগে অভিযোগ তোলে, নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য বিকিনি বাধ্যতামূলক করা কেবল অংশগ্রহণকারী নারীদের সুগঠিত শরীর প্রদর্শন করে টুর্নামেন্টকে আকর্ষণীয় করে তোলা ছাড়া খেলার কোন কৌশল বা দক্ষতায় প্রভাব ফেলে না।
সেই থেকে নারী ক্রীড়াবিদরা ফুলহাতা জামা ও বডিস্যুট পরে খেলায় অংশ নেওয়ার অনুমতি পান। কিন্তু হিজাব পরে বিচ ভলিবলে অংশ নেওয়া খেলোয়াড় দোয়াই প্রথম।
সূত্র বিবিসি।