অনলাইন:
ক্লাইমেট চেঞ্জ ভালনারেবিলিটি এন্ড রেসপন্স অ্যাট ম্যাক্রো এন্ড মাইক্রো লেবেল’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, গ্রিনহাউজ গ্যাস বেড়ে আবহাওয়ার তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘনঘন বজ্রপাতের ঘটনা ঘটছে।
প্রতি এক ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় শতকরা ১২ ভাগ বজ্রপাত বৃদ্ধি পায় বলে উল্লেখ করে তারা বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশে বজ্রপাতে হতাহতের সংখ্যা বেড়ে গেছে। গত বছর দেশে বজ্রপাতে নারী, শিশু ও পুরুষসহ ৩০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আজ রাজধানীর রমনাস্থ আইইবি কাউন্সিল মিলনায়তনে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ (আইইবি)’র ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে তারা একথা বলেন।
আইইবি’র ঢাকা কেন্দ্রের সভাপতি প্রকৌশলী মো. ওয়ালিউল্লাহ শিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইইবি’র সভাপতি ও আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, আইইবি’র সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ।
সেমিনারে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতিসংঘের এনভায়ারমেন্টাল প্লেনার অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী এস. আই খান।
প্রকৌশলী এস. আই খান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু-১’ স্যাটেলাইট আগামী তিন মাসের মধ্যে পুরোপুরিভাবে কার্যক্রম শুরু করবে। তখন বজ্রপাতে হতাহতের সংখ্যা অনেকাংশে কমে যাবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে কখন কোথায় বজ্রপাত হবে তা জানা যাবে। কমিটিউনিটি রেডিও’র মাধ্যমে এ তথ্য জানানো গেলে সহজেই মানুষ নিরাপদ স্থানে চলে যেতে পারবে।
এস. আই খান বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে কৃষকদের গামবুট পরার পরামর্শ দিয়ে বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যুরোর উদ্যোগে বজ্রপাত থেকে রক্ষায় তালগাছ রোপণ ও তাল গাছের বীজ সংগ্রহ ও ১৩টি নদীবন্দরে বজ্রপাত পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন কর্মসূচী আগামী তিনমাস পর্যন্ত স্থগিত রাখা উচিত।
তিনি বলেন, তালগাছ বড় হতে অনেক সময় নেয়, বজ্রপাতে তালগাছ মরে যায় ও তালগাছে থাকা বাবুই পাখি ফসলের জন্য ক্ষতিকর। আবার যে সকল নদীবন্দরে বজ্রপাত পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তার নিরাপত্তা রক্ষাও ব্যয়সাপেক্ষ।
তিনি বলেন, কৃষকরা গামবুট পরিধান করলে তারা বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে। আর বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট পুরোপুরী কাজ শুরু করলে আর কোন সমস্যা হবে না।