স্টাফ রিপোর্টার::
প্রতিহিংসার কারণে ইউপি চেয়ারম্যান প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত এক গ্রাম পুলিশের বেতন ভাতা বন্ধ রাখায় তিনি জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন করে ভিক্ষাবৃত্তিতে ফিরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে এর আগে তার বেতন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠইর ইউনিয়ন পরিষদে প্রতিবন্ধী কোটায় চাকুরি পাওয়া হতদরিদ্র গ্রাম পুলিশ মো. সহিবুর রহমান সম্প্রতি জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদনে কাঠইর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাওলানা শামছুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আনেন। দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে আতœসাতকৃত মালামাল পাহারা না দেওয়ায় চেয়ারম্যান তার প্রতি ক্ষুব্দ হয়ে বেতন আটকে দিয়েছেন বলে তিনি লিখিত অভিযোগে প্রতিবন্ধী গ্রাম পুলিশ উল্লেখ করেন। গত ৩ মে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ থেকে জানা যায়, প্রতিবন্ধী সংগঠনের সুপারিশে কাঠইর ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম পুলিশের চাকুরি নেন এলাকার মো. সহিবুর রহমান। তাকে নিয়োগ দিতে কালক্ষেপণ করায় ২০১৭ সালের ১৫ জানুয়ারি তিনি ৫ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে নিয়োগ লাভ করেন বলে তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন। এরপর থেকেই পরিষদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন সহিবুর। এতদিন তিনি নিয়মিত বেতন পেলেও গত চার মাস ধরে তার বেতন আটকে রাখা হয়েছে। একই ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ শিপন দাসের বেতন গত মাসে দেওয়া হলেও তার বেতন কোন কারণ ছাড়াই আটকে রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে গত বছর এই ইউনিয়নের ১০৯৪ জনকে সরকার প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল ও নগদ ৫০০ টাকা করে সহায়তা দিয়ে আসছে। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান নামে বেনামে তালিকা করে প্রতি কিস্তির ১০০-১৫০ বস্তা চাল কালোবাজারে বিক্রি করে লাভবান হতে সেই চাল প্রহরা দিতে তাকে জোর করছেন। তিনি অস্বীকার করায় তার প্রতি ক্ষুব্দ হয়ে তার বেতন আকটে রাখা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। অভিযোগকারী তার বকেয়া বেতন পরিশোধ করে তাকে গ্রামপুলিশের চাকুরি থেকে বিদায় দেওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি এখন থেকে তিনি প্রতিবন্ধী হিসেবে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন পরিচালনা করবেন বলে আবেদনে উল্লেখ করেন। ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা শামছুল ইসলাম বলেন, গ্রাম পুলিশের সঙ্গে কোন ঝামেলা নেই। কয়েক মাস পরপর তাদের বেতন হয়। এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রদীপ সিংহ বলেন, অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।