স্টাফ রিপোর্টার
ছাতক ইউএনও অফিসে অবস্থান নিয়ে সিংচাপইড় ইউপি চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন সাহেল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)কে ৫০ মিনিট অবরুদ্ধ রেখে ফেসবুক লাইভে প্রচার করার ঘটনার তদন্ত করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। বুধবার দুপুর ১২ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত ছাতক উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বসে সংশ্লিষ্টদের লিখিত বক্তব্য নিয়েছেন তাঁরা। তবে তদন্তকালে ইউপি চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন সাহেল অনুপস্থিত ছিলেন।
তদন্ত কমিটির সদস্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার দাস বলেন,‘তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে ইউপি চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন সাহেলের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাঁর ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকে জানানো হয়েছে, একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়েছে। বুধবারও তার মুঠোফোনে কয়েকবার কথা বলার চেষ্টা হয়েছে। তিনি ফোন রিসিভ না করায় তাঁর পরিষদের সচিবকে বলা হয়েছে চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন সাহেল এই বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে চাইলে আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১২ টার মধ্যে দেবার জন্য।’
সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. এমরান হোসেন বলেন,‘আমার গোপনীয় সহকারী (সিএ) একাধিকবার চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন সাহেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তিনি নাকি মামলার কাজে সুনামগঞ্জে গিয়েছেন। আমরা জানিয়েছি তাঁর কোন বক্তব্য থাকলে আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১২ টার মধ্যে লিখিত দেবার জন্য।’ তদন্তকালে কমিটির অপর সদস্য সহকারী পুলিশ সুপার দোলন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
তদন্ত কমিটির দায়িত্বশীলরা প্রায় ২ ঘণ্টা ছাতক উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপস্থিত থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাছির উল্লাহ্ খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবরু মিয়া তালুকদার, ছাতক প্রেসক্লাবের সভাপতি হারুন অর রশিদ, উপজেলার অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা এবং চাউলির হাওরের ৪ পিআইসি সভাপতির সঙ্গে কথা বলেন। পরে উপস্থিত সংশ্লিষ্ট ৭ জনের লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেন তাঁরা।
এর আগে গত ১৯ মে সুনামগঞ্জের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. এমরান হোসেনকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
অবৈধভাবে দাবি করা বিল পরিশোধ না করায় সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সিংচাপইড় ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা শাহাব উদ্দিন সাহেল ৫ জন পিআইসি (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি)সদস্যকে নিয়ে ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টা ১৮ মিনিট থেকে ৫০ মিনিট অবরুদ্ধ করে রাখেন। পুলিশের উপস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে অশালিন আচরণ, পাউবো’র একজন উপসহকারী প্রকৌশলীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হয় এসময়। পুরো বিষয়টি ফেসবুক লাইভে সম্প্রচার করেন ঐ ইউপি চেয়ারম্যান।
উল্লেখ্য সাহেল একাধিক মামলার আসামী ও একজন বিতর্কিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে পরিচিত।
তথ্যসূত্র: সুনামগঞ্জের খবর।