বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জ জেলায় ৫২ হাজার ৭৮২ হেক্টর ফসলি জমি পতিত রয়েছে। সবচেয়ে পতিত
জমি বেশি ছাতক উপজেলায়। সবচেয়ে কম পতিত জমির পরিমাণ জামালগঞ্জ উপজেলায়।
গতকাল শনিবার সকালে সুনামগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় এই
তথ্য জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সংশ্লিষ্টরা গত কয়েক বছর ধরে জেলায় আউশধানের
আবাদ বৃদ্ধি পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। ‘সিলেট অঞ্চলে শস্যের নিবীড়তা
বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প’র একটি কর্মশালায় এই তথ্য জানান কৃষিবিদগণ।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারণ
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আলতাবুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য
রাখেন প্রকল্প পরিচালক মো. ওয়াহিদুজ্জামান, সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ
অধিদপ্তরের উপপরিচালক বশির আহম্মদ সরকার, বিনার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.
হোসনে আরা হেনা, কৃষিবিদ হযরত আলী, প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার মো. ফরহাদ মিয়া প্রমুখ। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত
কৃষক ও উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, ‘সিলেট অঞ্চলে শস্যের নিবীড়তা বৃদ্ধিকরণ
প্রকল্প’র ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে প্রকল্প শুরুর পর সুনামগঞ্জের ৭টি উপজেলায়
আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় ১৪২-৯৬ ভাগ আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এই
প্রকল্পটি সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, দিরাই, জগন্নাথপুর, ছাতক,
তাহিরপুর ও জামালগঞ্জে বাস্তবায়িত হচ্ছে। চলতি বছরের জুন মাসে প্রকল্পটি
শেষ হবে। প্রকল্প থেকে প্রশিক্ষণ, প্রদর্শনী, মাঠ দিবস, উদ্ধুব্ধকরণ,
উপজেলা কৃষি মেলা, জেলা কৃষি মেলা, চারা বিতরণসহ নানা কর্মসূচি পালন করা
হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে জেলায় গত তিন বছরে চাষাবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে
এবং পতিত জমি চাষের আওতায় এসেছে বলে জানান কৃষিবিদগণ।
কর্মশালায় সংশ্লিষ্টরা জানান, জেলায় সবচেয়ে বেশি পতিত জমি রয়েছে ছাতকে ও
জগন্নাথপুরে। ছাতকে উপজেলায় প্রায় ১১ হাজার ৫৯৩ হেক্টর ফসলি জমি এবং
জগন্নাথপুরে ১০০১১ হেক্টর জমি পতিত রয়েছে। অন্যান্য উপজেলার মধ্যে
সুনামগঞ্জ সদরে ৩৫১৪, দক্ষিণ সুনামগঞ্জে ২৫৬৫, দোয়ারাবাজারে ৯৬৬০,
বিশ্বম্ভরপুরে ৫১০২, জামালগঞ্জে ৮৪০, তাহিরপুরে ৩৮০০, ধর্মপাশায় ৩০২০,
দিরাইয়ে ১৫৩০ এবং শাল্লায় ১১৪৭ হেক্টর জমি পতিত রয়েছে। খাদ্য উদ্ধৃত্ত
জেলা হিসেবে বিপুল পরিমাণ জমি পতিত থাকায় হতাশা প্রকাশ করে সংশ্লিষ্টরা
পতিত জমি চাষের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।